
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ, ২৩ জুলাই ৪ দিনের ব্রিটেন ও মালদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন। এই সফল কৌশলগত দিক দিয়ে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু কিছুটা চিন ঘেঁষা বলে দাবি করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। মালদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করবেন মোদী।
মালদ্বীপ ও ভারতের সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই বেশ শক্তপোক্ত। তবে বছর দু’য়েক আগে এই সম্পর্কে একটা ফাটল দেখা দিয়েছিল যখন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়েছিলেন। সেই সময় মনে করা হয়েছিলও নয়াদিল্লি তার এক বিশ্বাসযোগ্য বন্ধুকে হারাল। যদিও পরবর্তীতে মোহাম্মদ মুইজ্জু বুঝেছিলেন, চিনের তুলনায় আমাদের দেশ মালদ্বীপের অনেক বেশি ভাল চায় ও অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য।
২০২৪ সালে মালদ্বীপকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা ও ৩ হাজার কোটি টাকার মুদ্রা বিনিময় সুবিধা দেয় ভারত। এ ছাড়াও মালদ্বীপকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও সহায়তা করে চলেছে ভারত। ২০২৫ সালে ভারত ৫৬ কোটি টাকা সহায়তায় মালদ্বীপে ফেরি পরিষেবা সম্প্রসারণ করে। আর এই ভাবেই মালদ্বীপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ মজবুত হয়ে ওঠে ভারতের।
‘মিশন মালদ্বীপ’ শুধুমাত্র একটি সফর নয়, এটি ভারতের একটি কৌশলগত যুদ্ধ। এই কৌশলের অধীনে মালদ্বীপকে নীরবে ভারত চিনের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আর মোদির এই সফর প্রমাণ করে ভারত এখনও এই অঞ্চলের কূটনৈতিক ভরকেন্দ্রেই রয়েছে ও সঠিক পথেই এগিয়ে চলেছে।