নয়াদিল্লি: আচমকা ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) পুত্র-সহ আরও ৬ জনের। সেই ঘটনায় টুইটে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাশাপাশি, দুর্ঘটনাগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন নমো (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে খবর মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার সকালটা অন্যদিন গুলোর মতো ছিল না। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিজেপি বিধায়ক বিজয় রেহেঙ্গদালের ছেলে আবিষ্কার রেহেঙ্গদাল-সহ আরও ৬ জনের। সেই ঘটনায় টুইট করে শোকবার্তা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “মহারাষ্ট্রের সেলসুরায় পথ দুর্ঘটনার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি মৃতের পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানাই। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
Pained by the loss of lives due to an accident near Selsura in Maharashtra. In this hour of sadness, my thoughts are with those who have lost their loved ones. I pray that those injured are able to recover soon: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) January 25, 2022
পাশাপাশি, সূত্র মারফত এও খবর পাওয়া গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সেলসুরার দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী। পাশাপাশি আহদের পরিবারকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে সেই অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, ওই পড়ুয়ারা দেওলি থেকে ওয়ার্ধার পথে যাচ্ছিলেন। সেইসময় আচমকা তাঁদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা সেতুর দেওয়ালে ধাক্কা মারে। সেখান থেকে হুড়মুড়িয়ে নীচে পড়ে যায়।
সোমবার রাত ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ পূর্ব মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা জেলার সেলসুরা গ্রামের কাছে একটি সেতু থেকে পড়ে যায় গাড়িটি। সেই গাড়িতেই ছিলেন, গোন্ডিয়া জেলার তিরোরার বিজেপি বিধায়ক বিজয় রেহেঙ্গালের ছেলে আবিষ্কার। এছাড়াও ছিলেন আরও ৬ জন ডাক্তারি পড়ুয়া।
তবে ঠিক কখন দুর্ঘটনা ও কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রাত ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িটি সেতু থেকে পড়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আচমকা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই বিপত্তি। তবে, গাড়ির গতি বেশি ছিল নাকি অন্য কোনও কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
কিছুদিন আগেই ট্রাক ও বাইকের সংঘর্ষে মোট ১৫ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান ওই ১৫ জন। তারও আগে, আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে, সেবারও ৫ জনের মৃত্যু হয়। সেলসুরার মানুষ বলছেন, রাত বাড়লেই গতি বাড়িয়ে দেন চালকেরা। বিশেষ করে বড় ট্রাক বা লরি হলে কথাই নেই। অনিয়ন্ত্রিত গতির জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ তাঁদের।