
নয়া দিল্লি : শনিবারই দেশের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pandey)। ইঞ্জিনিয়ার কোর থেকে এই প্রথম কোনও সেনা কর্তা শীর্ষ পদে বসলেন। এবং দায়িত্ব সামলেই নিজের পূর্বসূরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন জেনারেল পাণ্ডে। সঙ্গে চিন-ভারত সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন সেনাপ্রধান। সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনওমতেই চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেওয়া হবে না ভারতের তরফে। তিনি জানান, ভারতীয় সেনা দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে লাদাখ সীমান্তে। এদিন আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় নয়া সেনাপ্রধানকে। এরপর সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাতকারে সেনা প্রধান বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে কোনও ভাবেই সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলাতে দেবে না ভারত। চিনকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।’
এদিকে সেনাপ্রধান এদিন জানান যে আপাতত পাকিস্তান সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণরেখা এবং চিনা সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়্ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আলোচনা চলছে (ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে)। একমাত্র একে অপরের সঙ্গে কথা বলেই সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আমরা নিশ্চিত যে আমরাও চলমান সমস্যাগুলির একটি সমাধান খুঁজে পাব।’ তবে আলোচনা চললেও ভারত। প্রস্তুত সেই প্রসঙ্গে বলতে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি যে, আমরা এই এলাকায় (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর) অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম এবং সৈন্যদের মোতায়েন করেছি। আমাদের ফোকাস লজিস্টিক এবং অপারেশন প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাস্তবায়িত করা। বল প্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের (চিনের তরফে) পর্যাপ্ত জবাব দেওয়া হয়েছে… আমাদের সেনা গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এখন আমাদের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখ সেক্টরের ইস্যু সমাধান করতে হবে।’
এদিকে সেনাপ্রধান সামরিক ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর কথায়, বাহিনীর স্বদেশীকরণ এবং সেনায় নতুন প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির দিকেও মনোনিবেশ করবেন তিনি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাতে দেশ লড়াইয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশীয় অস্ত্র ব্যবস্থা এবং সরঞ্জামের উপর নির্ভর করতে হবে এবং সেই সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই কারণে আমরা স্বনির্ভরতা এবং মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের সাথে একত্রিত হয়েছি।’