নয়া দিল্লি: রাজ্যকে টিকা (COVID Vaccine) কিনে দেবে কেন্দ্র। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে দেশের টিকা নীতিতে বদল এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন টিকাকরণ নীতিতে কেন্দেরে মোট খরচ হতে পারে ৫০ হাজার কোটি টাকা। তবে আপাতত নতুন করে এর জন্য টাকা বরাদ্দ করার কথা ভাবছে না অর্থমন্ত্রক। সূত্র জানিয়েছে, পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। তাই আপাতত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন নেই।
দ্বিতীয় পর্বে অর্থ বরাদ্দ করার প্রয়োজন হতে পারে। তখন শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে এ নিয়ে আলোচনা করবে নির্মলা সীতারামনের মন্ত্রক। কেন্দ্র জানিয়েছে, আপাতত বিদেশি ভ্যাকসিনে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত। দেশের কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও আসন্ন বায়োলজিক্যাল-ই ভ্য়াকসিনে ভরসা রাখছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেশের বাজারে ঢোকার ইচ্ছে নেই মডার্নার।
দেশে কোভিশিল্ড, কোভ্য়াক্সিন ছাড়া অনুমোদন পেয়েছে স্পুটনিক-ভি। তবে আপাতত বায়োলজিক্যাল-ই ভ্যাকসিনকেই পাখির চোখ করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই নির্মাতা সংস্থাকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অগ্রিম দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে দ্বিতীয় ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ এই করোনা প্রতিষেধক।
দেশ এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত। দৈনিক সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু কমানো যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে কেন্দ্রকে দ্রুত টিকাকরণ করতে হবে। কিন্তু টিকা কই? দেশজুড়ে টিকার আকাল। এখন যদি অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োলজিকাল-ই সংস্থা ৩০ কোটি টিকা কেন্দ্রের হাতে তুলে দিতে পারে, তাহলে দৈনিক ১ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছতে পারবে কেন্দ্র। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘আমরা পাঁচ মিনিট বন্ধ করে দিলাম অক্সিজেন, দেখলাম কে মরে আর কে বাঁচে’