Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমরা পাঁচ মিনিট বন্ধ করে দিলাম অক্সিজেন, দেখলাম কে মরে আর কে বাঁচে’

কয়েক মিনিটের মধ্যে নীল হয়ে যাচ্ছিল রোগীরা। অডিও ক্লিপে জানিয়েছেন হাসপাতালের মালিক।

'আমরা পাঁচ মিনিট বন্ধ করে দিলাম অক্সিজেন, দেখলাম কে মরে আর কে বাঁচে'
প্রতীকি ছবি, সৌজন্যে PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 3:21 PM

আগ্রা: দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ কমেছে অনেকটাই। অক্সিজেনের অভাবও সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের যে অভাব দেখা দিয়েছিল, তার সামনে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছিল চিকিৎসা ব্যবস্থা। অনেক রাজ্যেই অক্সিজেন ছিল না পর্যাপ্ত। এমনকি হাসপাতালগুলিতে জবাব দিয়ে দিচ্ছিল রাজ্য সরকারও। এই অবস্থায় এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেয় আগ্রার এক হাসপাতাল। অক্সিজেন বন্ধ করে চালানো হল ‘মক ড্রিল’। গত ২৭ এপ্রিল সেই ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন ওই হাসপাতালে ২২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি এক অডিও ক্লিপে সামনে এসেছে, যে খানে সে দিনের ঘটনার বর্ণণা দিয়েছেন ওই হাসপাতালের মালিক। ঘটনা নিয়ে তদন্তের বার্তা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

পরশ হাসপাতালের মালিক অরিঞ্জয় জৈনের দেড় মিনিটের এটা অডিয়ো ক্লিপ সামনে এসেছে। সেখানে তিনি বলছেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, খোদ মুখ্যমন্ত্রীও অক্সিজেন পাচ্ছেন না, রোগীদের ছেড়ে দাও। আমরা রোগীর পরিবারকে বোঝাতে শুরু করি। কেউ কেউ বোঝে। বেশির ভাগই নাছোড়বান্দা। তাঁর হাসপাতাল ছেড়ে চাননি। তখনই আমরা মক ড্রিল করার সিদ্ধান্ত নিই।’ সকাল ৭ টায় পাঁচ মিনিটের জন্য অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হলে কাদের মৃত্যু হতে পারে, সেটা দেখার জন্যই এমনটা করা হয়েছিল বলে দাবি মালিকের। তিনি আরও বলেন, অক্সিজেন বন্ধ করার পর অনেক রোগীই নীল হয়ে যাচ্ছিলেন।

যদিও ২৬ এপ্রিল ওই বেসরকারি হাসপাতালে ২২ জনের মৃত্যু হওয়ার দাবি উড়িয়ে দেন আগ্রার জেলাশাসক প্রভু এন সিং। তিনি দাবি করেন, ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল পরশ হাসপাতালে মাত্র সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। জেলাশাসকের দাবি, কয়েকদিনের মধ্যে অক্সিজেনের অভাব মিটিয়ে দেওয়া হয়। মথুরা শোধনাগারের থেকে সেখানে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হয়। যদিও তাঁর আশ্বাস, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে ঠাকরে, আলোচ্য কী?

অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যাওয়া পর হাসপাতালের মালিক জানিয়েছেন, ওই মক ড্রিল করে দেখা হচ্ছিল, কাদের বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন ও কাদের কম। তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘মক ড্রিলের অর্ধ হল কোনও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আগে সেই পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা বুঝে নেওয়া। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুল গান্ধী।