মুখে রুমাল গুঁজে জোর করে লেখানো হয়েছিল সুইসাইড নোট, কীভাবে খুন হয়েছিলেন মনসুখ?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 26, 2021 | 2:24 PM

সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) দেখা গিয়েছে, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরতে দেখা যায় মনসুখ হিরেন(Mansukh Hiren)-কে। তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, রাত ন'টা নাগাদই থানের ওই জলাশয়ের কাছে পৌঁছন মনসুখ হিরেন। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ও জোর করে তাঁর ফোন কেড়ে নেয়।

মুখে রুমাল গুঁজে জোর করে লেখানো হয়েছিল সুইসাইড নোট, কীভাবে খুন হয়েছিলেন মনসুখ?
ঘটনার পুনর্গঠন করছেন তদন্তকারী দল। ছবি:PTI

Follow Us

মুম্বই: কীভাবে খুন হয়েছিলেন গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেন(Mansukh Hiren), তা জানতে ঘটনার পুনর্গঠন করল এনআইএ(NIA)। বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা ধৃত পুলিশকর্মী সচিন ভাজ়ে(Sachin Vaze)-কে নিয়ে মুম্বইয়ের সেই জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখান থেকে মনসুখ হিরনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। শুক্রবার তাঁকে বাকি ধৃতদের সঙ্গে জেরা করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

গতকালই আদালতে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার সচিন ভাজ়েকে তোলা হয়। সেখানে তিনি বলেন, “বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে আমাকে।” যদিও আদালত তাঁকে আগামী ৪ এপ্রিল অবধি পুলিশ হেফাজতেই রাখার নির্দেশ দেয়।

তদন্তকারী সংস্থার দাবী, ৪ মার্চ রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যেই মুম্বইয়ের থানের ওই জলাশয়ের ধারে নিয়ে আসা হয় মনসুখ হিরেনকে। সেখানেই ধৃত অফিসার সচিন ভাজ়েই পুলিশ কনস্টেবল বিনায়ক শিন্ডে ও বুকি নরেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে খুন করেন। সূত্রের দাবি, ২০২০ সালের মে মাসেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল বিনায়ক শিন্ডে। তিনিই ৪ মার্চ একটি ভুয়ো সিম কার্ড ব্যবহার করে রাত ৯টা নাগাদ ওই জায়গায় দেখা করার কথা বলেন। তবে নিজের গাড়ি বা বাইক নয়, অটোয় করে যেন তিনি ঘটনাস্থানে আসেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল ফোনে।

আরও পড়ুন: ৪টি শতাব্দী এক্সপ্রেস সহ বাতিল ৩৫ ট্রেন, গাজিপুর সীমান্তে নাচে-গানে প্রতিবাদ

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ থানের আম্বেদকর নগর থেকে খোপাট এলাকার দিকে যেতে দেখা যায় মনসুখ হিরেনকে। তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, রাত ন’টা নাগাদই থানের ওই জলাশয়ের কাছে পৌঁছন মনসুখ হিরেন। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। জোর করে তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয় ও সুইচড অফ করে দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় মনসুখের পরিচয়পত্র, ঘড়িও।

মনসুখ হিরেনের কাছ থেকে যে সুইসাউইড লেটারটি উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটিও জোর করে লেখানো হয়েছিল বলেই সন্দেহ এনআইএ-র। এরপরই রুমাল দিয়ে তাঁর মুখ বেঁধে খুন করা হয় ও থানের ওই জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই মনসুখের ফোন মালডিপাদা ভাসাইয়ের কাছে রাত ১০টা ১০ নাগাদ অফ করে দেওয়া হয়। এদিকে, সেইদিনই রাত ১১টা ৪৮ নাগাদ মুম্বইয়ের টিপসি বারের কাছে দেখা যায় সচিন ভাজ়েকে।

তদন্তকারীদের দাবি, নিজেকে নিরাপরাধ প্রমাণ করতে ও সাক্ষী জোগাড়েই ঘটনাস্থান থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ওই বারে গিয়েছিলেন সচিন। আজ তাঁদের সকলকেই একসঙ্গে জেরা করা হবে বলেই জানিয়েছে এনআইএ।

আরও পড়ুন: বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

Next Article