সেপ্টেম্বরে দৈনিক আক্রান্ত ছুঁতে পারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ! ভয়াবহ আশঙ্কা নীতি আয়োগের

নীতি আয়োগের আরও অনুমান, তৃতীয় ঢেউ এলে প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে।

সেপ্টেম্বরে দৈনিক আক্রান্ত ছুঁতে পারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ! ভয়াবহ আশঙ্কা নীতি আয়োগের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 8:27 PM

নয়া দিল্লি: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এ বার আরও বড় বিপদের বার্তা শোনাল নীতি আয়োগ। সোমবার একদিকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে নতুন করে তৃতীয় ঢেউ কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেই আশঙ্কার কথা জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ দিন নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে ধাক্কা মারার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। আর তেমনটা হলে দিনপ্রতি আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ লক্ষ হতে পারে।

বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে দেশে দৈনিক আক্রান্তের হার ২০-৩০ হাজারে মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। আপাতভাবে এই সংখ্যাটা উদ্বেগের না হলেও যেহেতু উৎসবের মরসুম এগিয়ে আসছে, তাই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অনেকের মতে, যেহেতু এখনও ভারতবাসীর ৫০ শতাংশেরও টিকাকরণ হয়নি, তাই তৃতীয় ঢেউ আসা একপ্রকার অবশ্যম্ভাবী। দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই অবস্থায় দ্রুত টিকাকরণ চালানো হলেও তৃতীয় ঢেউ কোনও ভাবেই এড়ানো যাবে না। আর নীতি আয়োগ মনে করছে, তৃতীয় ঢেউ এলে দেশে দৈনিক আক্রান্ত হতে পারেন ৪-৫ লক্ষ মানুষ। যা প্রায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সমতুল্য।

নীতি আয়োগের আরও অনুমান, তৃতীয় ঢেউ এলে প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। কিন্তু কেন? তার অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি নীতি আয়োগের সদস্যদের কথায়। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে দেশজুড়ে অন্তত দুই লক্ষ আইসিইউ বেড প্রস্তুত রাখা উচিত বলে জানানো হয়েছে। আগে থেকেই সতর্ক করে নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই তৈরি থাকতে হবে।

তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে চিকিৎসা পরিকাঠামো ঠিক কেমন হওয়া প্রয়োজন, সেই সুপারিশও করা হয়েছে নীতি আয়োগের তরফে। এই সংস্থা জানিয়েছে, অতিমারির আরও একটি ধাক্কার সঙ্গে যুঝতে ১.২ লক্ষ ভেন্টিলেটর যুক্ত আইসিইউ বেড, ৭ লক্ষ অক্সিজেন সাপ্লাই যুক্ত বেড এবং কমপক্ষে ১০ লক্ষ কোভিড আইসোলেশন কেয়ার ইউনিট প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরই নীতি আয়োগ জানিয়েছিল যে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোভিড শয্যা আলাদাভাবে তৈরি করে রাখা প্রয়োজন। সেই মতো কোন হাসপাতাল কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে এ বার তার পরীক্ষা হতে চলেছে বলা যায়।

নীতি আয়োগের এই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক নয় তা হলফ করেই বলা যায়। কেননা, সোমবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অক্টোবরেই চরম আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শিশুদের ক্ষেত্রে যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকবে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। আরও পড়ুন: পুজোর মুখেই চরমে ‘থার্ড ওয়েভ’! রিপোর্ট জমা পড়ল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে