নয়া দিল্লি: লোকসভায় জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) মোট সদস্য ১৬ জন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ক্যাবিনেটে কোনও জেডিইউ মন্ত্রী নেই। দ্বিতীয় মোদী সরকারের বছর ২ কেটে যাওয়ার পর এ বার কি মন্ত্রিত্ব চাইবেন নীতীশ কুমার? তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। কারণ, বিহারের ডামাডোল পরিস্থিতিতে দিল্লি ভ্রমণে গিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে নীতীশের। সেই বৈঠকে আলোচ্য বিষয় হতে পারে ক্যাবিনেটে জেডিইউর প্রতিনিধিত্ব।
জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লি পৌঁছবেন নীতীশ। সূত্রের খবর জনতা দল ইউনাইটেড মোদী-নীতীশ সাক্ষাৎকে ‘ব্যক্তিগত আলোচনা’ বলবে। কিন্তু জল্পনা বলছে রাজনৈতিক অভিসন্ধির কথা। ২০১৯ সালের মোদী ক্যাবিনেটে স্থান পাননি জেডিইউর কোনও সাংসদ। বিজেপি তখন একজন জেডিইউ সাংসদকে মন্ত্রী বানানোর কথা বলেছিল। কিন্তু নীতীশ কুমারের দাবি ছিল ২।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বৈঠক হওয়ার জল্পনা রয়েছে। এর আগে জেডিইউ নেতা আরসিপি সিং মোদী ক্যাবিনেটে দলের মন্ত্রী থাকার পক্ষে সওয়াল করেছেন। অন্যদিকে বিহারের রাজনীতিতে বড়সড় রদবদল হয়ে গিয়েছে। লোক জনশক্তি পার্টিতে ৫ সাংসদ চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পশুপতি পরসের নেতৃত্বে দলে ভাঙন ধরিয়েছেন।
জেডিইউ এই দায় অস্বীকার করলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেন, এলজেপিতে ভাঙনের নেপথ্যে রয়েছেন নীতীশ কুমার। কারণ, খোদ পশুপতি পরস নীতীশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। জল্পনা উসকে তিনি বলেছেন, “আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলে সংসদীয় দলনেতার পদ ছেড়ে দেব।” রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় সরকারের শূন্য় মন্ত্রী পদে বসার কথা ছিল চিরাগের। নীতীশ কুমারের বিরোধিতার কারণেই না কি তখন চিরাগ সেই পদ পাননি। তাই নীতীশের দিল্লি ভ্রমণ নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: সাদা ধোঁয়া গ্রাস করছে গোটা এলাকা, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড জুতোর কারখানায়, নিখোঁজ ৬