
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়সে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বড় নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। ২০১৬-র প্যানেল বাতিল হওয়ায় যে শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হয়েছিল, তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড়ের কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ছিল, যোগ্য শিক্ষাকর্মীদের ১০ বছর বয়সে ছাড় দিতে হবে। সেই নির্দেশই খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সব যোগ্য প্রার্থীদের ১০ বছরের বয়সের ছাড় দেওয়ার নির্দেশ আপাতত কার্যকর হবে না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, প্রত্যেকটি আবেদনের ভিত্তিতে হলফনামা যাচাই করে বিচার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া যাবে না। সামগ্রিকভাবে অর্ডার দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নিয়োগে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াও কয়েক হাজার শিক্ষাকর্মীর চাকরিও বাতিল হয়ে যায় ওই নির্দেশে। স্কুলের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নতুন করে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই ওই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, এমন প্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন।
মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিচারপতি অমৃতা সিনহা সবাইকে বয়সে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেটা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। যাচ্ছে, বলছে আর অর্ডার পাশ হচ্ছে, এটা হবে না। হলফনামা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত”।