PM Narendra Modi: সংবিধান সংশোধনী বিলে প্রধানমন্ত্রীর অপসারণের কথা ছিল না! মোদীই জোর করে অন্তর্ভুক্ত করান, জানালেন কিরণ রিজিজু

130th Constitution Amendment Bill: যদি প্রধানমন্ত্রী কোনও দুর্নীতি করেন, তাকেও জেল যেতে হবে। এবং ৩০ দিন জেলে থাকলে, তাকে মন্ত্রীপদ ছাড়তে হবে। সংসদের বাদল অধিবেশনে পেশ করা ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে এমনটাই প্রস্তাব দেওয়া রয়েছে।

PM Narendra Modi: সংবিধান সংশোধনী বিলে প্রধানমন্ত্রীর অপসারণের কথা ছিল না! মোদীই জোর করে অন্তর্ভুক্ত করান, জানালেন কিরণ রিজিজু
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।Image Credit source: PTI

|

Aug 24, 2025 | 9:58 AM

নয়া দিল্লি:  কোনও মন্ত্রী গ্রেফতার হলে বা ৩০ দিন আটক থাকলেই ৩১ তম দিনে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হবে। কেন্দ্র আনছে এমনটাই বিল। ইতিমধ্যেই তা লোকসভায় পেশ হয়েছে এই বিল। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী-কেউই বাদ যাবেন না এই আইন থেকে। তবে এই বিলে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল না। ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে প্রধানমন্ত্রী পদের সংযোজন করেন খোদ নরেন্দ্র মোদী এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু।

যদি প্রধানমন্ত্রী কোনও দুর্নীতি বা অপরাধ করেন, তাঁকেও জেল যেতে হবে। এবং ৩০ দিন জেলে থাকলে, তাঁকে মন্ত্রীপদ ছাড়তে হবে। সংসদের বাদল অধিবেশনে পেশ করা ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে এমনটাই প্রস্তাব দেওয়া রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রীও এই নিয়ম থেকে ছাড় পাবেন না।

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু জানান, এই সংবিধান সংশোধনী বিল যখন ক্যাবিনেটে পেশ করা হয়েছিল, তখন প্রাথমিক প্রস্তাবে বিলে বাদ রাখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর পদ। কেবল মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রী পদের জন্য আনা হত এই বিল। কিন্তু এই প্রস্তাবে সমর্থন দেননি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ক্যাবিনেটকে জানান দেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নাগরিক। তাঁর ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ সুরক্ষা বা ব্যতিক্রম থাকা উচিত নয়।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে ক্যাবিনেটকে জানান যে প্রস্তাবিত বিলে প্রধানমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রীকে কোনও ছাড় দেওয়া উচিত নয়, তিনিও দেশের নাগরিক। তাঁকে বিশেষ সুরক্ষা দেওয়া উচিত নয়। অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীই আমাদের দলের। যদি আমাদের দলের লোকজন ভুল করে, তবে তাদের পদ ছাড়তে হবে। নৈতিকতা থাকা উচিত। বিরোধীরা যদি নৈতিকতার পথে চলত, তবে তারাও এই বিলকে স্বাগত জানাত।”

দেশের জনগণের কথা শুনেই এই বিল আনা হয়েছে বলে জানান কিরণ রিজিজু। তিনি জানান যে ক্ষমতায় থাকা যে কোনো দল নিজেদের বাঁচাতে সব সময় বিল আনে। কিন্তু এই বিল একদমই তেমন নয়, মানুষ অনেকদিন ধরে চাইছিলেন এমন একটি বিল আসুক সেটাকেই বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে।