লখনউ: পড়াশোনা শেষ করে সদ্য পা রেখেছিলেন কর্মজীবনে। শনিবার ছিল কাজের প্রথম দিন। কিন্তু বাড়ি ফেরার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও মেয়ের দেখা নেই। সকাল হলে মেয়ের খোঁজে নার্সিং হোমে (Nursing Home) যেতেই আঁতকে উঠলেন মা-বাবা। দূর থেকেই দেখতে পেলেন নার্সিং হোমের ছাদ থেকে ঝুলছে মেয়ের দেহ (Dead body)। তারা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও, যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র উন্নাও(Unnao)-তে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই নার্স (Nurse) হিসাবে ওই নার্সিংহোমে কাজে যোগ দেন ওই যুবতী। পরদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে উন্নাওয়ের নিউ জীবন নামক একটি নার্সিং হোমের ছাদ থেকে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআরে তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন মৃতার মা-বাবা। গোটা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উন্নাওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শশী শেখর সিং বলেন, “নিউ জীবন হাসপাতালে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ ওই যুবতীকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পরে খুন করে দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পরিবারের দাবি, শুক্রবার কাজের প্রথম দিন হওয়ায় হাসি-খুশি অবস্থাতেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল যুবতী। কাজ শেষে বিকেল বা রাতের মধ্যে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পর মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তারা আশেপাশে খোঁজখবর শুরু করেন। শনিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম দেহটি ছাদ থেকে ঝুলতে দেখেন। পরে ঘটনাস্থানে এসে পৌঁছয় মৃতার পরিবারের সদস্যরাও।