Odisha: তদন্তকারীরা কড়া নাড়তেই ছাদ থেকে ঝাঁপ সরকারি কর্তার, বাজেয়াপ্ত কোটি টাকার সম্পত্তি
Odisha engineer jumps off terrace: বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর), অভিযুক্ত কর্তার বাড়িতে তল্লাশি করতে এসেছিলেন ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তারা। তারপরই ঘটে ওই কাণ্ড। শেষ পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে কয়েক কোটি টাকার বেহিসেবি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়।

ভুবনেশ্বর: বাড়ির দরজায় ভিজিল্যান্স বিভাগ কড়া নাড়তেই, ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন সরকারি কর্তা। তবে, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। তাকে ধরিয়ে দিয়েছেন তারই এক প্রতিবেশী। তার আয়ের সঙ্গে, তার সম্পত্তি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে অভিযোগ ওঠার পর, ওই সরকারি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল ভিজিল্যান্স বিভাগ। তদন্তের স্বার্থেই বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর), অভিযুক্ত কর্তার বাড়িতে তল্লাশি করতে এসেছিলেন ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তারা। তারপরই ঘটে ওই কাণ্ড। শেষ পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে কয়েক কোটি টাকার বেহিসেবি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়।
অভিযুক্ত সরকারি কর্তার নাম সুনীলকুমার পাধী। ওড়িশার গ্রামীণ জল সরবরাহ এবং নিকাশি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তিনি। বর্তমানে ভুবনেশ্বরের এক অফিসে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বেহিসেবি সম্পত্তির অভিযোগে তদন্ত করছিল ওড়িশার ভিজিল্যান্স বিভাগ। সুনীলকুমার পাধী আদতে গঞ্জম জেলার বাসিন্দা হলেও, কাজের সূত্রে ভুবনেশ্বরের এক অভিজাত স্থানের এক বাড়িতে থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার, সেই বাড়ির পাশাপাশি, ভুবনেশ্বর এবং গঞ্জমের মোট পাঁচটি ভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে হানা দিয়েছিল ভিজিল্যান্স বিভাগের পাঁচটি দল। সুনীল কুমার পাধীর বাড়ির দরজার কড়া নাড়তেই, তিনি বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নেমে, এক প্রতিবেশির বারান্দায় গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, ওই প্রতিবেশি খবর দেন ভিজিল্যান্স কর্তাদের। যদিও, তাঁকে গ্রেফতার করে নয়ে যাওয়ার সময় সুনীলকুমার দাবি করেন, তিনি কোথাও পালিয়ে যাননি বা কোথাও লুকিয়ে ছিলেন না। তদন্তে ভিজিল্যান্স কর্তাদের সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরে এক বিবৃতিতে ভিজিল্যান্স বিভাগ জানিয়েছে, সুনীলকুমারের বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তিতে হানা দিয়ে, কোটি কোটি টাকার বেহিসেবি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১.১০ কোটি টাকার মূল্যের একটি তিন তলা ভবন, বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি জমি, তার জন্মস্থানে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স, ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক আমানত, ৪ লক্ষ টাকার বেশি নগদ, একটি চার চাকার গাড়ি, ২৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য সম্পদ। ভিজিল্যান্স কর্তারা জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীলকুমার পাধী। সম্প্রতি পদোন্নতি হয়ে, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদ থেকে তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদে উন্নীত হয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর মাসিক বেতন প্রায় ৮০,০০০ টাকা। কিন্তু, তাঁর যে সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তা তাঁর বেতনের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। সুনীলকুমার পাধীর আরও বেশ কিছু গোপন সম্পত্তি রয়েছে বলে সন্দেহ ভিজিল্যান্স বিভাগের। সেগুলির সন্ধানে আরও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কর্তারা।
