Odisha Rape Case: ‘আমার সঙ্গে থাকলেই মিটবে ঝামেলা’, বলে লাগাতার ৭৯ দিন গৃহবধূকে ধর্ষণ! ফেরার অভিযুক্ত তান্ত্রিক

Summery - ওড়িশার বালাসোরে ৭৯ দিন ধরে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে ওই তান্ত্রিকের হাতে তুলে দিয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই।

Odisha Rape Case: 'আমার সঙ্গে থাকলেই মিটবে ঝামেলা', বলে লাগাতার ৭৯ দিন গৃহবধূকে ধর্ষণ! ফেরার অভিযুক্ত তান্ত্রিক
ছবি - বালাসোরে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার গৃহবধু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 8:16 PM

বালাসোর: ৭৯ দিন ধরে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে বন্দি ছিল তাঁর আড়াই বছরের শিশু সন্তান-ও। তার সামনেই বারংবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে শুক্রবার নির্যাতিতা মুক্তি পেলেও, অভিযুক্ত তান্ত্রিককে ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে আরও আশ্চর্যজনক হল, ওই গৃহবধূকে অভিযুক্ত তান্ত্রিকের হাতে তুলে দিয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বালাসোর জেলায়।

শনিবার, বালাসোর জেলার পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ওই মহিলার বিবাহ হয়েছিল। তারপর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর শুরু হয়েছিল মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। গত কয়েক বছর ধরে এই নিয়ে প্রায়শই অশান্তি হত তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। এরপরই আবির্ভাব ঘটে ওই তান্ত্রিকের। নির্যাতিতা জানিয়েছে, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে পণের দাবি নিয়ে এই ঝামেলার সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছিল তান্ত্রিকটি। তবে, তার জন্য ওই গৃহবধূকে কয়েকমাস তার সঙ্গে থাকতে হবে বলে দাবি করেছিল সে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের এই ব্যবস্থায় আপত্তি না থাকলেও, স্বাভাবিকভাবেই এই প্রস্তাবে রাজি হননি ওই গৃহবধূ।

এরপরই মাদক খাইয়ে তাঁকে অচেতন করে দিয়েছিলেন তাঁর শ্বাশুড়ি, এমনই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। জ্ঞান ফিরতে তিনি দেখেছিলেন, তিনি সেই তান্ত্রিকের ঘরে বন্দি। তাঁর সঙ্গেই ছিল তাঁর শিশু সন্তানও। নির্যাতিতার অভিযোগ, এরপর প্রায় ৭৯ দিন ধরে ওই ঘরেই বন্দি ছিলেন তিনি। শিশু সন্তানের সামনেই তাঁকে বারবার করে ধর্ষণ করেছে তান্ত্রিক। ওই মহিলা ও তাঁর শিশুর জন্য খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও করেছিল সে। তবে, তার একটা ভুলেই অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ওই মহিলা।

জানা গিয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল তান্ত্রিকটি ঘরে তার মোবাইল ফোন ফেলে গিয়েছিল। আর সেই সুযোগে নির্যাতিতা তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করে, তাঁর দূরাবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। মহিলার বাড়ির লোকজনই এরপর পুলিশে অভিযোগ জানায়। তবে, পুলিশ হানা দেওয়ার আগেই, বিপদ বুঝে পালিয়েছিল ওই তান্ত্রিক। তবে, তার খোঁজ চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ধর্ষণ-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। স্বামী, দেওর-সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যের নামেও এফআইআর দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। তবে, এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।