ভিডিয়ো: পুলিশকর্মীদের সামনেই কোপানো হয়েছিল গ্যাংস্টার তিলুকে! প্রশ্নের মুখে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা

Tillu Tajpuriya: তিহাড় জেলের মধ্যেই বের করে আনা হচ্ছে তিলুর ছুরিবিদ্ধ দেহ। কয়েক জন পুলিশকর্মী বের করে আনছেন তিলুকে। সে সময়ই ফের দুজন আক্রমণ করলেন তিলুকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তা আটকানোর চেষ্টা করেননি বললেই চলে।

ভিডিয়ো: পুলিশকর্মীদের সামনেই কোপানো হয়েছিল গ্যাংস্টার তিলুকে! প্রশ্নের মুখে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা
সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2023 | 6:27 AM

নয়াদিল্লি: দিল্লির তিহাড় জেলে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে গ্যাংস্টার তিলু তাজপুরিয়াকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ বার কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তিলুকে। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যা দেখে চমকে উঠছেন নেটিজেনরা। তিহাড়ের মতো জেল যেখানে দেশের হাই প্রোফাইল বন্দিরা থাকেন, সেখানকার নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই খুনের ঘটনা সামনে আসার পর কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাত জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার আরও একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সেই ফুটেজ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে জেলের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে। ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পুলিশ কর্মীদের সামনেই কোপানো হচ্ছে তিলু তাজপুরিয়াকে (Tillu Tajpuriya)।

তিলু তাজপুরিয়া কুখ্যাত গ্যাংস্টার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ২০২১ সালে দিল্লির রোহিণী আদালতের ভিতরে অপর এক গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগীকে হত্যা করে খুন করা হয়েছিল। সেই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ছিল তিলু। কিন্তু মঙ্গলবার তিহাড় জেলের ভিতরেই তিলুর বিরোধী গ্যাংয়ের সদস্যরা তাঁর উপর একাধিক বার ছুরি মেরে খুন করে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ছয় জন বন্দি মিলে ঘিরে ধরেছিল তিলুকে। তার মাথায়, ঘাড়ে ও গলায় একাধিকবার ছুরির কোপ মারে অভিযুক্তরা। তিলু ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও অভিযুক্তরা তাকে চেপে ধরেছিলেন।

অপর একটি সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকর্মীদের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। তিলুকে খুন করার পরের ঘটনা ধরা পড়েছে এই ফুটেজে। সেখানে দেখা গিয়েছে, তিহাড় জেলের মধ্যেই বের করে আনা হচ্ছে তিলুর ছুরিবিদ্ধ দেহ। কয়েক জন পুলিশকর্মী বের করে আনছেন তিলুকে। সে সময়ই ফের দুজন আক্রমণ করলেন তিলুকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তা আটকানোর চেষ্টা করেননি বললেই চলে। ২-১ জন পুলিশকর্মী আলতো ভাবে দুই আক্রমণকারীরে আটকানোর চেষ্টা করলেন। বাকিরা পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই ফুটেজই।