Video: ফেসবুক লাইভে শিউরে ওঠা দৃশ্য, গুলিতে খুন উদ্ধব গোষ্ঠীর সেনা নেতা!
Shot dead in Facebook Live: বৃহস্পতিবার অভিষেক ঘোষালকরকে একটি অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মৌরিস নরোনহা ওরফে মৌরিস ভাই। সেই অনুষ্ঠান ফেসবুকে ওয়েবকাস্ট করা হচ্ছিলএক সময়, । মৌরিস নরোনহাকে লাইভস্ট্রিম ছেড়ে উঠে যেতে দেখা যায়। কিছু পরেই তিনি ফিরে আসেন। ঘোষালকরকে পরপর তিনবার গুলি করেন। এরপর মৌরিস নিজেকেও গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
মুম্বই: ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করছিলেন। তার মধ্য়েই গুলিবিদ্ধ হলেন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) গোষ্ঠীর নেতাকে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি), মুম্বইয়ের দহিসারের এমএইচবি কলোনি থানা এলাকায়। নিহত নেতা, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর বিনোদ ঘোষালকরের ছেলে, অভিষেক ঘোষালকর। ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করার সময়, মৌরিস নরোনহা নামে এক ব্যক্তি তাঁকে গুলি করেন। পরে নিজেও আত্মঘাতী হন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মৌরিস নরোনহা বোরিভালি পশ্চিমের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে একজন সমাজকর্মী বলে দাবি করতেন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আকাঙ্খা ছিল তাঁর। স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল তাঁর। বেশ কয়েকদিন ধরে মতবিরোধ চলার পর, সম্প্রতি তাদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছিল। ঝামেলা মিটে গিয়েছিল।
এরপরই, বৃহস্পতিবার অভিষেক ঘোষালকরকে একটি অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মৌরিস নরোনহা ওরফে মৌরিস ভাই। সেই অনুষ্ঠান ফেসবুকে ওয়েবকাস্ট করা হচ্ছিলএক সময়, । মৌরিস নরোনহাকে লাইভস্ট্রিম ছেড়ে উঠে যেতে দেখা যায়। কিছু পরেই তিনি ফিরে আসেন। ঘোষালকরকে পরপর তিনবার গুলি করেন। এরপর মৌরিস নিজেকেও গুলি করে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চালানোর উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
What is happening in Maharashtra?
Jungle raj…….
this is not a movie scene .👇
Today in Mumbai’s Dahisar Abhishek Ghosalkar, a former corporator and son of senior SS (UBT) leader Vinod Ghosalkar has been shot at after a live fb stream by some morris . pic.twitter.com/cP0WGNRSqn
— Waris Pathan (@warispathan) February 8, 2024
এদিকে, এই হত্যার প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকারকেই দায়ী করেছে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) দলের নেতারা। আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, “অভিষেক ঘোষালকরের উপর গুলি চালানো হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। আর কত দিন এই সব সহ্য করতে হবে? এতে শুধু মহারাষ্ট্রের মানহানিই হচ্ছে না, সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। সবথেকে বড় কথা, রাজ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, মহারাষ্ট্রে কোনও শিল্প আসবে না।”
শিবসেনা (উদ্ভব ঠাকরে) নেতা সঞ্জয় রাউত, আরও এক কদম এগিয়ে এই হত্যার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ভূমিকা থাকতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন,”মহারাষ্ট্রে গুন্ডা রাজ চলছে। অভিষেক ঘোষালকরকে গুলি করেছে যে মৌরিস নরোনহা, চার দিন আগে তিনি বর্ষা বাংলোতে (মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। মৌরিসকে শিন্দে সেনাতে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে ফড়নবীস সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত!”
সম্প্রতি, একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর নেতা মহেশ গায়কোয়াডকে ক্যামেরার সামনেই গুলি করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক গণপত গায়কোয়াড। মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরে হিল লাইন থানার ভিতরেই এই ঘটনা ঘটেছিল। দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে, দুই রাজনীতিবিদ এবং তাঁদের সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন থানায়। সেখানেই গুলি চালান বিজেপি বিধায়ক। ঘটনায় আহত হন শিন্ডে গোষ্ঠীর আরও এক বিধায়ক রাহুল পাটিলও। এই নিয়ে বিরোধের মধ্যেই এবার উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা খুন হলেন।