নয়া দিল্লি : রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক ভারতীয় পড়ুয়ার। কিছুক্ষণ আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। খারকিভ গতকাল থেকেই একের পর এক মিসাইল এবং বোমা বর্ষণ করতে থাকে রুশ বাহিনী। লাগাতার বোমা বর্ষণ চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইটারে বলেছেন, “গভীর শোকের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে এদিন সকালে খারকিভে বোমা বর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন এক ভারতীয় পড়ুয়া। বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।” টুইটে তিনি আরও লিখেছেন, “মৃতের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।” সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম নবীন শেখারারাপ্পা গ্যানাগৌড়ার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে তিনি উত্তর কর্ণাটকের বাসিন্দা। তিনি ইউক্রেনের খারকিভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তিনি মেডিক্যালের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া।সুপারমার্কেটে খাবার কিনতে গিয়েছিলেন নবীন। সেইসময় সকাল ৭ টায় খারকিভে একটি রকেট হামলায় তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মরদেহ আপাতত খারকিভের একটি মর্গে রাখা হয়েছে।
Ministry of External Affairs says that an Indian student lost his life in shelling in Kharkiv, Ukraine this morning. The Ministry is in touch with his family. pic.twitter.com/EZpyc7mtL7
— ANI (@ANI) March 1, 2022
খারকিভে লাগাতার বোমা বর্ষণ করে চলেছে রুশ বাহিনী। খারকিভে সরকারি সদর দফতরে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। খারকিভ হল ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সেখানেই বোমা বর্ষণে প্রাণ গেল এক ভারতীয় পড়ুয়ার। প্রসঙ্গত, কিয়েভকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার বাহিনী কিয়েভ দখল করতে পারে এই আশঙ্কায় ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের অবিলম্বে কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য রাত-ভর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আজ ভারতীয় বায়ুসেনাকে এই উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর অরিন্দম বাগচী টুইটে আরও জানিয়েছেন, বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দূতদের ফোন করেছেন। ইউক্রেনের খারকিভ এবং অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ এলাকায় আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদভাবে জুরুরি ভিত্তিতে দেশে ফেরানোর আবেদন জানাবে। তিনি টুইটে লিখেছেন, “এই পদক্ষেপ রাশিয়া এবং ইউক্রেনে থাকা আমাদের দূতের তরফেও নেওয়া হয়েছে।”