কাশ্মীর: ফের গুলির শব্দে ঘুম ভাঙল উপত্য়কাবাসীর। রবিবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীর(Jammu Kashmir)-র পুলওয়ামা (Pulwama) জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Force)গুলির লড়াই শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া অবধি, এনকাউন্টারে (Encounter) এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। ওই জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েকদিন ধরেই উপত্যকায় জঙ্গি গতিবিধি বৃদ্ধির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এ দিন ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অবন্তীপোরায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। বারাগাম এলাকায় তল্লাশি চলাকালীনই পিছন থেকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলি চালাতেই, পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার বলেন, “আজ সকালে অবন্তীপোরার বারাগাম এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। এনকাউন্টারে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনকাউন্টারে নিহত ওই জঙ্গির নাম সমীর আহমেদ তান্ত্রে। গত ২ নভেম্বরই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল সে। বারাগাম এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সি- ক্যাটেগরির অধীনে ছিল।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বরও পুলওয়ামায় এনকাউন্টার অভিযান চালিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজন আবার জইশ-ইমহম্মদ গোষ্ঠীর কম্যান্ডার ছিলেন। পুলওয়ামার কাশবা ইয়ার এলাকায় জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির লড়াই শুরু হয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে সেই গুলির লড়াই। শেষ অবধি দুইজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।
এদের মধ্যে একজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর কম্যান্ডার ছিলেন। আরেক জঙ্গির নাম ফুরকান, ভিনদেশী ওই জঙ্গি আইইডি বিস্ফোরক তৈরিতে পারদর্শী বলেই জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই জঙ্গিই বিগত কয়েক বছর ধরে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল।
২০ নভেম্বরও জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় আশমুনজি এলাকায় এক জঙ্গি দমন অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, হিজবুল মুজাহিদ্দিনের কমান্ডার ছিল ওই জঙ্গি।
শ্রীনগরের হায়দারপোরাতেও এক সেনা অভিযানে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, যে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন জঙ্গি এবং বাকি দুজন ব্যবসায়ী। ওই দুই ব্যবসায়ী জঙ্গিদের মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিগত কয়েক মাস ধরেই উপত্যকায় সাধারণ মানুষের উপর যে একের পর এক জঙ্গি হামলা চলছিল, তার বদলা নিতেই এনকাউন্টার অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন: New Omicron Cases in India: আরও ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রন, চণ্ডীগঢ়-অন্ধ্র প্রদেশেও মিলল আক্রান্তের খোঁজ