
নয়াদিল্লি: ট্রেনের এসি কামরায় বিধ্বংসী আগুন। পুড়ে খাক হয়ে গেল পরপর দু’টি কোচ। মৃত্য়ু হল এক যাত্রীর। সোমবার সাতসকালে ভয়াবহ খবর শোনাল কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক। আধিকারিকরা জানাল, বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে ঝাড়খণ্ডের টাটানগর থেকে কেরলের এর্নাকুলামগামী দূরপাল্লার ট্রেন। মধ্যরাতে অন্ধ্র প্রদেশের আনাকাপালি জেলার কাছেই ঘটে এই অগ্নি সংযোগের ঘটনা।
তখন রাত ১টা। নিজের গতিতেই ছুটছে এর্নাকুলামগামী এক্সপ্রেস। হঠাৎ করেই আগুনের শিখা দেখতে পান চালক। তিনি দেখেন, একটি কোচ থেকে পরের কোচের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে অগ্নিশিখা। তখনই ট্রেনটিকে দাঁড় করান তিনি। নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। অগ্নিসংযোগ হওয়া কোচ থেকেও উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। কিন্তু একজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আগুনের কবলে পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
ইন্ডিয়া টুডে-কে এক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘যে কোচটিতে আগুন লেগেছিল, সেখানে মোট ৮২ জন যাত্রী ছিলেন। পাশের কোচটিতে ছিল মোট ৭৬ জন। কিন্তু একজন বাদে এনাদের প্রত্য়েককেই সুস্থ ভাবে উদ্ধার করা গিয়েছে। দুঃখের কথা এটাই যে চন্দ্রশেখর সুন্দরম নামে এক যাত্রীর আগুন ঝলসে প্রাণ গিয়েছে।।’
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দূরপাল্লার ট্রেনের বি১ কোচে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বি২ কোচের দিকেও। আগুন যাতে গোটা ট্রেনটিকে না-খেয়ে ফেলে, সেই কথা মাথায় রেখে এম১ কোচ থেকে ট্রেনটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যার জেরে কিছুটা হলেও সীমিত থেকেছে ক্ষতির পরিমাণ। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে দু’টি এসি চেয়ারকার কোচ। তবে এই আগুন মোকাবিলায় যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়ে দমকল বাহিনী। রাতবিরেতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। তাদের তৎপরতায় আগুন নেভানো হয়। কিন্তু তারপরেও একটি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছেই! কীভাবে লাগল আগুন? অবশ্য সেই প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি রেল মন্ত্রক। তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই জানিয়েছে তাঁরা।