AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

১৬ কোটির ইঞ্জেকশন দিয়েও রক্ষা হল না, মারা গেল ১ বছরের শিশু

বেদিকা শিন্দের (Vedika Shinde) নামের পুনের এক শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। তাকেও ১৬ কোটি টাকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে ছবি শেয়ার করে সবাইকে আরোগ্য কামনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।

১৬ কোটির ইঞ্জেকশন দিয়েও রক্ষা হল না, মারা গেল ১ বছরের শিশু
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 12:13 AM
Share

পুনে: ছেলের বিরল রোগ নিয়ে বাবার চিন্তা। বাবার নাম বিশাল দাওরে। রোগ সারানোর জন্য দিতে হবে দামি ইঞ্জেকশন। কিন্তু সেই ইঞ্জেকশনের দাম শুনে পরিবারের লোকজনের চোখ উঠল কপালে। ১৬ কোটি (16 crore) টাকা দামের ইঞ্জেকশন (Injection) দিলেই সারবে ছলের রগ। কিন্তু এত টাকা পাবে কোথায় বিশাল দাওরে।

ঘটিবাটি বিক্রি করলেও এত টাকা জোগাড় করা দায়। তাও আবার সেই ইঞ্জেকশন পাওয়া যায় আমেরিকায়। কিন্তু কথায় আছে ভাগ্যে থাকলে কে আটকায়। লটারির মাধ্যমে দামি ইঞ্জেকশন বিজেতা হন। সেই কারণে আমেরিকা থেকে সেই ইঞ্জেকশন চিকিৎসার জন্য চলে আসে ভারতে। ২ বছরও পূর্ণ হয়নি বিশাল দাওরের ছেলে শিবরাজের। এত কম বয়সে সে স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি রোগে আক্রান্ত। এটা খুব বিরল রোগ কেননা ১০ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ১ জন শিশু এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে কিছুদিনের মধ্যেই মারা যায় শিশু।

তবে জিন প্রতিস্থাপন করা গেলে এই রোগের হাত থেকে মুক্তি মেলে। এক চিকিৎসক বিশাল দাওরেকে জানায়, জোলজেনস্মা ইঞ্জেকশন কোম্পানি এই ইঞ্জেকশন তৈরি করে। সংস্থার পক্ষ থেকে ট্রায়ালের জন্য একজনকে খোঁজা হচ্ছে। তবে তার জন্য লটারি হবে। সেই লটারি জিতে ইঞ্জেকশন পেয়েছিল শিবরাজ। ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর সে এখন সুস্থ।

তবে বেদিকা শিন্দের নামের পুনের এক শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। তাকেও ১৬ কোটি টাকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে ছবি শেয়ার করে সবাইকে আরোগ্য কামনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্টের কারণে মারা যায় সে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সে। তার সুস্থতার জন্য ১৪ কোটি টাকা অনুদান উঠেছিল। জুন মাসে দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে দামি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। কিন্তু ২ মাস বাদেই রবিবার মারা যায় সে।