AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Army on Operation Sindoor: রাত ১টা ৫ থেকে ১টা ৩০-এর মধ্যে ধ্বংস একের পর এক টার্গেট, সাংবাদিক বৈঠকে জানাল সেনা

Army on Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাত নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি। উপস্থিত রয়েছেন দুই মহিলা সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং।

Army on Operation Sindoor: রাত ১টা ৫ থেকে ১টা ৩০-এর মধ্যে ধ্বংস একের পর এক টার্গেট, সাংবাদিক বৈঠকে জানাল সেনা
| Edited By: | Updated on: May 07, 2025 | 1:50 PM
Share

একের পর এক জঙ্গি হামলায় বারবার ভারতে প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে সেনা জওয়ানদের। আর পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা ছিল ভয়ঙ্করতম। এত বেশি সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু কোনও হামলায় ঘটেনি। এই তথ্য তুলে ধরে ভারত এবার স্পষ্ট বার্তা দিল ‘আর নয়’। মঙ্গলবার রাতে ভারত সামরিক অভিযান চালানোর পর বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।

পহেলগাঁও জঙ্গি হানার বদলা নিতেই ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বেছে বেছে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে এবং তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

  1. পাকিস্তানের ৬ কিলোমিটার ভিতরে শিয়ালকোটে কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, সেই ছবি তুলে ধরা হল সেনার সাংবাদিক বৈঠকে।
  2. কর্নেল আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বাহওয়ালপুরে জয়েশ-ই-মহম্মদের মার্কাজ সুভাহ আল্লা-কে নিশানা করেছিল ভারত।
  3. কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর উভয় জায়গাতেই অভিযান চালানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি করিনি। প্রথমে সাওয়াই নালা ক্যাম্পকে নিশানা করা হয়। জইশ এবং লস্করের শিবিরগুলিই ছিল টার্গেট। ৯টি জায়গায় ২১টি টার্গেট ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের যে জায়গায় হামলা হয়েছে, সেটি হল শিয়ালকোট। সেখানে ছিল একটি হিজবুল ক্যাম্প।
  4. কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানালেন, মঙ্গলবার রাত ১টা ৫ থেকে ১টা ৩০-এর মধ্যে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। ৯টি টার্গেট ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেট বেছে নেওয়া হয়েছিল। এমনভাবে বাছা হয়েছিল যাতে সাধারণ নাগরিকদের কোনও ক্ষতি না হয়।
  5. বিক্রম মিস্রি পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে বলেন, “২২ এপ্রিলের আক্রমণকারী এবং সমর্থকদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি ছিল। ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে, পাকিস্তান কেবল তা অস্বীকার করেছে। আজ সকালে ভারত আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।”,
  6. বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, সাক্ষী এবং সংস্থার মাধ্যমে আক্রমণকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের ভূমিকা সম্পর্কে ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই নথি রয়েছে।
  7. বিক্রম মিস্রি উল্লেখ করেন, হামলার ১৫ দিন পরেও, পাকিস্তান তার মাটিতে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এবং পুরো দায় অস্বীকার করে এসেছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে ভারতে আরও এই ধরনের হামলা হতে পারে।”
  8. সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই পুরনো কিছু হামলার ছবি তুলে ধরা হয়। উল্লেখ করা হয়, ভারতে কীভাবে দিনের পর দিন পাক জঙ্গিদের হামলা চলেছে।