AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এক ডোজ়ের দাম ১৬ কোটি! একরত্তির বিরল জিনগত রোগ সারাতে ৪২ দিনেই টাকা জোগাড় অনলাইনে

মুম্বইয়ের এক বিখ্যাত হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ৮ জনোর এই ধরনের রোগ দেখা যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে বাঁচার আশা থাকে না।

এক ডোজ়ের দাম ১৬ কোটি! একরত্তির বিরল জিনগত রোগ সারাতে ৪২ দিনেই টাকা জোগাড় অনলাইনে
হাসপাতালে পরিবারের সঙ্গে ধৈর্য্য। ছবি:ইন্সটাগ্রাম
| Updated on: May 08, 2021 | 3:34 PM
Share

মুম্বই: একরত্তি শিশুর প্রাণ বাঁচাতে চাই একটি ইঞ্জেকশন। তবে বাড়ি-ঘর বেঁচে দিলেও ওই ইঞ্জেকশনটি কেনার সামর্থ্য ছিল না রাঠোর পরিবারের। কারণ চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন পৃথিবীর সবথেকে দামী ওই ইঞ্জেকশনের একটি ডোজ়ের দাম ১৬ কোটি টাকা। ছেলেকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় অনলাইন মাধ্যমেই সাহায্য চেয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা। আর ফল মিলল তাতেই । মাত্র ৪২ দিনেই উঠে এল সেই টাকা। অজানা, অচেনা দুই লাখেরও বেশি মানুষ, যারা ওই শিশুর প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে রাঠোর পরিবার।

আহমেদাবাদের বাসিন্দা এক দন্পতির পাঁচ মাস আগে একটি ছেলে হয়। নাম রাখা হয় ধৈর্য্যরাজ সিং রাঠোর। কিন্তু জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা জানতে পারেন যে মারণ ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছে একরত্তি। বিরল এই জিনগত রোগের নাম স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোপি টাইপ-১ (Spinal Muscular Atrophy Type I )। জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই এই জিনগত সমস্যা ধরা পড়ে সাধারণত।

সঠিক চিকিৎসা না হলে দুই বছরের বেশি বাঁচার সম্ভাবনা নেই, তা আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন রাঠোর পরিবার। সেই সময় চিকিৎসকরা জ়োলগোসমা নামক একটি ইঞিজেকশনের কথা বলেন, যার মাধ্যমে এই জিনগত ত্রুটির নিরাময় সম্ভব। তবে এই ইঞ্জেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা।

মুম্বইয়ের এক বিখ্যাত হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ৮ জনোর এই ধরনের রোগ দেখা যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে বাঁচার আশা থাকে না।

নিজেদের সমস্ত কিছু দিয়েও টাকা জোগাড় করতে না পারায় শেষমেশ অনলাইনেই ছেলের জন্য সাহায্য চান রাঠোর পরিবার। দুই লক্ষেরও বেশি মানুষের সহায়তায় মাত্র ৪২ দিনের মধ্যেই উঠে যায় ১৬ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই ধৈর্য্যকে সেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে এবং সে ভাল আছে বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: শিকেয় সামাজিক দূরত্ব, রমজানের শেষ শুক্রবারের নমাজ পড়তে গাদাগাদি ভিড় মক্কা মসজিদে