Congress: প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে বড় ফাটল! একটা খুনের ঘটনায় একে একে ইস্তফা ২০০ জন মুসলিম নেতার
Congress: বলে রাখা ভাল, এই ২০০ জনের মধ্যে নাম রয়েছে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সভাপতি এমএস মহম্মদ এবং দক্ষিণ কন্নড় সংখ্য়ালঘু শাখার জেলা সভাপতি শাহুল হামিদেরও।

বেঙ্গালুরু: প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে বড় ভাঙন। লেগেছে ইস্তফার বহর। বৃহস্পতিবার, গণইস্তফা কর্মসূচির আয়োজন করে একই সঙ্গে দলের হাত ছাড়ে শতাধিক সংখ্যালঘু নেতা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০০ জন নেতার ইস্তফা পত্র জমা পড়েছে।
বলে রাখা ভাল, এই ২০০ জনের মধ্যে নাম রয়েছে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সভাপতি এমএস মহম্মদ এবং দক্ষিণ কন্নড় সংখ্য়ালঘু শাখার জেলা সভাপতি শাহুল হামিদেরও। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এমন পদত্যাগের পথে নামল একাধিক কংগ্রেস নেতা?
একটি হত্যা-কাণ্ডকে কেন্দ্র করেই পারদ চড়েছে কর্নাটকের। মঙ্গলবার বান্তেওয়ালে খুন হন আব্দুল রাহিমান। ইতিমধ্য়ে এই ঘটনায় ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আব্দুল হত্যার সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিল তার দুই বন্ধু। আব্দুলের উপর হামলা হলে, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুত্বর ভাবে জখম হন তারা। বর্তমানে রয়েছেন হাসপাতালে। তবে ঠিক কী কারণে এই হত্যা? তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
তবে এই একটা হত্য়াকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সরগরম হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরের সংখ্য়ালঘু রাজনীতি। খুনের ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে আগাম সাম্প্রদায়িক হিংসা দমনকারী টাস্ক ফোর্স নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বৈঠকে বসে প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু নেতারা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় গণইস্তফার। দক্ষিণ কন্নড়ে ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলা অপরাধ দমনের’ দাবি তুলে ইস্তফার সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তারা।
এদিন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্য়ালঘু শাখার সভাপতি শাহুল হামিদ বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী ও সংখ্যালঘু মন্ত্রীকে জানিয়েছি যে আমরা কোনও ভাবেই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে নড়ব না। আমি কংগ্রেসেই রয়েছি। কিন্তু নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।’

