India Pakistan: PoK হাতছাড়া হচ্ছে পাকিস্তানের? অমিত শাহের হুঁশিয়ারির পরেই ভয়ে পাক সেনা যা করল….
সদ্যই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দেন, পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (PoK) আদতে ভারতেরই। এবং ভারত যথাসময়ে তা পুনর্দখল করবে। সেই লক্ষ্যে তাঁদের সরকার কাজ এগোচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সদ্যই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দেন, পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (PoK) আদতে ভারতেরই। এবং ভারত যথাসময়ে তা পুনর্দখল করবে। সেই লক্ষ্যে তাঁদের সরকার কাজ এগোচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের তরফ থেকে এই হুঁশিয়ারি পেয়ে কেঁপে উঠেছে গোটা পাকিস্তান। সময় নষ্ট না করে নিজেদের দখল করে রাখা ঘর বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক সেনা ও সরকার।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর, শ্রীনগরের কাছে PoK-তে পাক বায়ুসেনার (Pakistan Air Force) দুই ঘাঁটি আবার খুলতে চলেছে। লাইন অফ কন্ট্রোলের (LoC) কাছাকাছি PoK-তে অবস্থিত এই দুটি সেনাঘাঁটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি গেটের তালা ফের খুলেছে। কোটলি ও রাওয়ালকোট বায়ুসেনা ঘাঁটি দুটি কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে। ফলে ভারতের জন্য এই খবর যথেষ্ট উদ্বেগের। তাই সতর্ক রয়েছে দিল্লিও।
কয়েকদিন আগেই বালোচ লিবারেশন আর্মি বোলান প্রদেশে ১৫৫ জন যাত্রী ও পাক সেনা বহনকারী একটি ট্রেন হাইজ্যাক করে। ট্রেনটি দখলমুক্ত করতে পারলেও অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয় ওই হাইজ্যাকে। ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে পাকিস্তান। অভিযোগ করে, বালোচ বিদ্রোহিদের অস্ত্র সরবরাহ করছে ভারত। যদিও ভারত সেই অভিযোগ সপাটে উড়িয়ে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘বালোচ বিদ্রোহিদের সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না। বালোচিস্তানের মানুষ পাকিস্তানের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। আমরা তাতে কী করতে পারি?’
বস্তুত, বালোচ বিদ্রোহিদের অভিযোগ, তাদের খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বেআইনিভাবে দখল করতে চায় পাক সরকার। সেটা তাঁরা কোনওমতেই হতে দেবেন না। সেই কারণেই পাক সেনার অভ্যন্তরে আঘাত করে তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন, পাকিস্তানের অনধিকার হস্তক্ষেপ বালোচরা চায় না। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বালোচ বিদ্রোহিদের হুঁশিয়ারিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না পাক সেনা। তাই বালোচিস্তানের শামসি-তে সেনাঘাঁটির শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। তার উপর সদ্য যোগ হয়েছে অমিত শাহের হুঁশিয়ারি। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের এখন ‘শ্যাম রাখি না কূল’ দশা।
পাক সেনার ২৩ ডিভিশনের আওতায় পড়ে কোটলি এয়ার বেস। ওই ঘাঁটিকে মজবুত করতে অন্তত ১০০ এয়ার ডিফেন্স বাহিনী পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশ থেকে কোটলিতে উড়িয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, রাওয়ালকোট এয়ারবেস পড়ে ১২ ডিভিশনের আওতায়। এই দুটি ঘাঁটিই গত বেশ কয়েকবছর ধরেই বন্ধ ছিল। সূত্রের খবর, শামসিতে ৪০৩ স্কোয়াড্রন সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু সেনা ও সরঞ্জামই নয়, ঘাঁটির রেডার নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এছাড়াও সিন্দের জাকোদাবাদের কাছে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একটি নতুন ক্যান্টনমেন্টও তৈরি করছে পাক সেনা। যার জন্য ইতিমধ্যেই ৭০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে পাকিস্তান সরকার। বালোচিস্তানের নাসিরাবাদে আরও ২৬ হাজার একর জমির উপরে আরেকটি সেনাঘাঁটি রয়েছে PAF-র। তবে এবার একেবারে LoC-র এতো কাছাকাছি পাক সেনার তৎপরতা বাড়ানোয় ভারতও সতর্ক রয়েছে। মনে রাখা দরকার, ২০১৯-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি খাইবার পাখতুনখোয়ায় বালাকোট এয়ারবেসের কাছে পাক জঙ্গি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে সগৌরবে ফিরে আসে ভারতীয় যুদ্ধবিমান।





