Pak Spy: পা পড়েছিল কলকাতাতেও, উপ-রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ভারতে এসে চরবৃত্তি পাক সাংবাদিকের!

Pakistani journalist spying for ISI: সাংবাদিক হিসেবেই ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে মোট পাঁচবার ভারতে এসে আইএসআই-এর হয়ে চরবৃত্তি করেছিলেন বলে দাবি করলেন বিশিষ্ট পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা।

Pak Spy: পা পড়েছিল কলকাতাতেও, উপ-রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ভারতে এসে চরবৃত্তি পাক সাংবাদিকের!
২০১০ সালে তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারীর আমন্ত্রণে ভারতে এসেছিলেন মির্জা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2022 | 4:20 PM

ইসলামাবাদ / নয়া দিল্লি:  সাংবাদিক হিসেবেই ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে মোট পাঁচবার ভারতে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকার। এমনকি, ২০১০ সালে ভারতের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। সাংবাদিক পরিচয়ে এলেও, প্রতিবারই ভারত সফরে এসে তিনি উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতেন। আর সংগৃহীত তথ্যাবলী তুলে দিতেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হাতে! ভয়ঙ্কর দাবি করলেন বিশিষ্ট পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা।

গত ১০ জুলাই পাক সাংবাদিক তথা ইউটিউবার সাকিল চৌধুরীকে এক সাক্ষাৎকার দেন মুসরত মির্জা। সেখানেই এই বর্ষিয়ান পাক সাংবাদিক দাবি করেছেন, ২০০৫ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পাঁচবার ভারত সফরে এসে তিনি চণ্ডীগঢ়, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা, পটনা-সহ বহু ভারতীয় শহরে ভ্রমণ করেছেন। এর জন্য তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নুসরত মির্জা। তিনি জানান, ভারতে ভিসার আবেদন করলে শুধুমাত্র তিনটি জায়গায় যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়। তবে, ২০০৫-এ বিদেশমন্ত্রী ছিলেন খুরশিদ কাসুরি। তিনি মির্জার পরিচিত হওয়ায়, তিনি পাক সাংবাদিককে সাতটি শহরের ভিসা পেতে সহায়তা করেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, ভারতের উর্দু পত্রিকার সব সম্পাদকই তাঁর বন্ধু।

সাক্ষাৎকারে মির্জা তাঁর ২০১০ সালের ভারত সফরের কথাও উল্লেখ করেছেন। ওই বছর, তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক এক সেমিনারে যোগ দিয়েছিলেন নুসরত মির্জা। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সম্মেলনে এসেও তিনি ভারতের উপর চরবৃত্তি করেছিলেন। মির্জার শেষ ভারত সফর ছিল ২০১১ সালে। ভারতে মিলি গেজেটের প্রকাশক জাফরুল ইসলাম খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন তিনি। শেষ সফরটি ছিল তথ্য সংগ্রহের প্রেক্ষিতে তাঁর সবথেকে সফল সফর। ভারত সম্পর্কে বহু তথ্য পেয়েছিলেন তিনি। সেই সবই তুলে দিয়েছিলেন আইএসআইএসের হাতে।

ভারতে চেনাশোনা থাকা এবং ভারতের উপর চরবৃত্তি করা সত্ত্বেও, নিজেকে ভারত বিশেষজ্ঞ বলতে চাননি নুসরত মির্জা। তবে, মুঘল বলেই তিনি ভারতের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভারত বিশেষজ্ঞ নই, কিন্তু আমরা মুঘল। আমরা বহু শতাব্দী ধরে ভারত শাসন করেছি। আমি তাদের সংস্কৃতি বুঝি। আমি তাদের দুর্বলতা জানি। কিন্তু সমস্যা হল ভারত সম্পর্কে আমি যে তথ্য-অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেছিলাম, তা পাকিস্তান ব্যবহার করতে পারছে না। কারণ, ভাল নেতৃত্বের অভাব।’

তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু, ভারত শান্তি স্থাপনে আগ্রহী নয়। তাঁর দাবি, পাক নেতৃত্বের কাছে তাঁকর দেওয়া সব তথ্য রয়েছে। ভারতে দুর্বলতার কথাও তারা জানে। কিন্তু পাক নেতৃত্ব তা ব্যবহার করে না। এফএটিএফ-এর কাছে পাকিস্তানের হাত বাঁধা বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে এফএটিএফ আসার পর থেকে ভারতে যাবতীয় কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীর ও বাংলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে বলেও দাবি করেছেন এই বিশিষ্ট পাক সাংবাদিক।