Omicron Scare: দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পরেও ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা, মধ্যরাত থেকেই চালু নতুন নিয়ম
Delhi Airport: আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে অন্তত চার থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে৷ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা যে সংস্থাকে দিয়ে করানো হচ্ছে, তারা প্রতি ঘণ্টায় ৪০০-৫০০ টি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
নয়া দিল্লি : বাড়ছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য আমাদের হাতে নেই। আর তাই সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের। যে সব দেশে ওমিক্রনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেই সব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানো হবে। সেই টেস্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বিমানবন্দর ছেড়ে বেরোতে পারবেন না তাঁরা।
আজ মধ্যরাত থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়ে যাচ্ছে। ওমিক্রনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে এমন ১৪ টি তালিকাভুক্ত দেশ থেকে ভারতে এলেই বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত এই ১৪ দেশ থেকে আগত যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বেরোতে পারবেন না।
এই আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে অন্তত চার থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে৷ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা যে সংস্থাকে দিয়ে করানো হচ্ছে, তারা প্রতি ঘণ্টায় ৪০০-৫০০ টি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারে বলে সূত্রের খবর। ওই সংস্থা ইতিমধ্যেই করোনা পরীক্ষার ফেসিলিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ওই যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষা করার একটি বিশে। জায়গা করা হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ববিধি মেনেই সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ইউরোপ থেকে দিল্লি সরাসরি একটি বিমানের গড় সময় লাগে সাড়ে আট ঘণ্টা। অর্থাৎ, বিমান উড়ানের আগে বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা, দিল্লি বিমানবন্দরে ছয় ঘণ্টা এবং কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কাজ করতে এবং ব্যাগপত্র নিতে নিতে অন্তত আরও এক ঘণ্টা। মানে, যাত্রীদের দিল্লি বিমানবন্দর ছেড়ে যেতে কমপক্ষে ১৭ ঘন্টা লাগতে পারে। আর যদি মধ্যপ্রাচ্য হয়ে একটি কানেক্টিং বিমানের জন্য ন্যূনতম আড়াই ঘণ্টা যোগ করা হয়, তার মানে মোট সাড়ে ১৯ ঘণ্টা।
এখনও পর্যন্ত, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজ়িল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইজরায়েল থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের বিমানবন্দরে অবতরণের পর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্যদের থেকে পাঁচ শতাংশ যাত্রীরও আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের নিজের খরচে আবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না পরীক্ষার রিপোর্ট আসছে, ততক্ষণ বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। তাঁর সোয়াবের নমুনা পাঠানো হবে জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য।
রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকলে, তাহলেই তাঁরা বিমানবন্দর থেকে বেরোতে পারবেন বা অন্য কোনও কানেক্টিং বিমানে উঠতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি পেলেও সাত দিন বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। অষ্টম দিনে পুনরায় করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, নেগেটিভ এলে আরও এক সপ্তাহ নিজের শারীরিক গতিবিধির উপর নজর রাখতে হবে।