Patanjali: ভারতের সবুজ বিপ্লবেও কান্ডারী ভূমিকায় পতঞ্জলি! জানুন কীভাবে
Patanjali: কৃষিশিল্পকে আরও টেকসই করে তুলতে পতঞ্জলি জোর দিয়েছে বায়োফার্টিলাইজার, বায়োপেস্টিসাইড, কম্পোজিট, গ্রিন ম্যানিউর এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য কৃষি বর্জ্য উৎপাদন এবং ব্যবহারের দিকে। মাটির উর্বরা শক্তি বাড়াতে সিন্থেটিক পণ্য ব্যবহার কমানোর দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

ভারত তথা গোটা বিশ্বে গত দু’বছর ধরে অরগ্যানিক ফার্মিং (জৈব চাষ) করার দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা। এই সিদ্ধান্ত যতটা সচেতন ততটাই প্রয়োজনীয় বটে। কেবল সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের খাতিরেই নয় বরং, চাষজমির উর্বর ক্ষমতা বাড়াতে এবং জমিকে দীর্ঘমেয়াদী করে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ অরগ্যানিক ফার্মিং।
ভারতেও একাধিক সংস্থা অরগ্যানিক ফার্মিং-এর ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। এটি সেই সব সংস্থার মধ্যে একটি যারা, কৃষকদের চাষ করার জন্য অরগ্যানিক ফার্মিং-এর পথ বেছে নিতে উৎসাহ দিয়েছে। বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে কৃষকদের অরগ্যানিক ফার্মিং-এ প্রশিক্ষণ দেওয়া, এই বিষয়ে কাউন্সিলিং করার কাজ করে চলেছে পতঞ্জলি।
অরগ্যানিক ফার্মিং-এর আগে কৃষকরা চাষ করতে কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার, পেস্টিসাইডস এবং জীনগত ভাবে মডিফাই বীজ ব্যবহার করত। যা মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদে নানা ক্ষতি করেই। তারই সঙ্গে চাষজমির গুণমান খারাপ করে দেওয়া, বেশি জলের প্রয়োজন পরোক্ষভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে।
কৃষিশিল্পকে আরও টেকসই করে তুলতে পতঞ্জলি জোর দিয়েছে বায়োফার্টিলাইজার, বায়োপেস্টিসাইড, কম্পোজিট, গ্রিন ম্যানিউর এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য কৃষি বর্জ্য উৎপাদন এবং ব্যবহারের দিকে। মাটির উর্বরা শক্তি বাড়াতে সিন্থেটিক পণ্য ব্যবহার কমানোর দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।
সর্বোপরি অরগ্যানিক ফার্মিং-এর গুরুত্ব বোঝাতে, এই নতুন কৃষি পদ্ধতিতে কৃষকদের শিক্ষিত এবং অভ্যস্ত করে তুলতেও বিশেষ ভাবে জোর দেয় পতঞ্জলি।
