বিহারে রইল না ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ, বছর ঘুরতেই ‘ব্যাক ফায়ার’ নীতীশের চাল

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jun 21, 2024 | 6:35 AM

Bihar Reservation Quota: বৃহস্পতিবার পটনা হাইকোর্টের তরফে জনস্বার্থ মামলায় বিহার সরকারের এই সংরক্ষণের নিয়ম খারিজ করে বলা হয়, সংরক্ষণের জন্য মেধাকে সম্পূর্ণভাবে বিসর্জন দেওয়া যায় না। রাজ্যে সরকারি কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব যথেষ্ট রয়েছে।

বিহারে রইল না ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ, বছর ঘুরতেই ব্যাক ফায়ার নীতীশের চাল
নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র
Image Credit source: PTI

Follow Us

পটনা: বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)। তাঁর সংরক্ষণের ‘তাসে’ কাঁচি চালাল আদালত। বৃহস্পতিবার পটনা হাইকোর্ট বিহার সরকারের শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম (Reservation Quota) বাতিল করে দিল। গত বছরই বিধানসভায় এই বিল পাশ করিয়েছিল নীতীশ কুমারের সরকার। কিন্তু নিয়ম বিরুদ্ধ হওয়ায়, ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম বাতিল করে দেয় পটনা হাইকোর্ট।

বছর বছর বিহারে সরকার বদলায়, মুখ্যমন্ত্রী থাকেন নীতীশই। গত বছর বিহারে আরজেডি, কংগ্রেসের সঙ্গে মহাগঠবন্ধন জোটে ছিলেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। সেই সময় জাতি ভিত্তিক জনসুমারির পর বিহার সরকারের তরফে গত নভেম্বর মাসে শিক্ষা ও চাকরিতে পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সংরক্ষণকে অবৈধ বলল আদালত।

বৃহস্পতিবার পটনা হাইকোর্টের তরফে জনস্বার্থ মামলায় বিহার সরকারের এই সংরক্ষণের নিয়ম খারিজ করে বলা হয়, “সংরক্ষণের জন্য মেধাকে সম্পূর্ণভাবে বিসর্জন দেওয়া যায় না। রাজ্যে সরকারি কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব যথেষ্ট রয়েছে।”

বিহার সরকারের তুলোধনা করেও আদালতের তরফে বলা হয় যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের ১৯৯২ সালের ইন্দিরা সহানির রায় মানেনি, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছিল যে কোনও রাজ্যেই সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মারাঠা কোটা নিয়ে বিতর্কের উদাহরণও দেওয়া হয়।

বিহারে সংরক্ষণ-

জাতি ভিত্তিক জনসুমারির রিপোর্টের পর বিহারের বিধানসভায় বিল পেশ করে সরকারি শিক্ষাক্ষেত্র ও চাকরিতে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়। অনগ্রসর (ওবিসি) ও অতি অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ ২৭ শতাংশ ছিল আগে। তা বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়। তফসিলি জাতির সংরক্ষণও ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।

ভোটে প্রভাব পড়বে?

আগামী বছরই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। জাতিভিত্তিক জনসুমারি এবং সংরক্ষণকে নির্বাচনে প্রচারে অন্য়তম তুরুপের তাস করার পরিকল্পনা ছিল নীতীশ কুমার সরকারের, কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলেছে আদালত। পাশাপাশি বর্তমান জোটসঙ্গী বিজেপিও গত বছর এই সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিল, ফলে সংরক্ষণ বাতিলের পর প্রতিবাদ করতে চাইলেও বিজেপিকে পাশে পাওয়া কঠিন নীতীশ কুমারের। এই সবকিছুরই প্রভাব নীতীশের ভোটব্যাঙ্কে ফেলতে পারে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

Next Article