AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘উদয়নিধির মন্তব্যে বিশ্বাস নেই’, সনাতন ধর্ম বিতর্কে নীরবতা ভাঙল কংগ্রেস

Paban Khera on Sanatan Dharma row: উদয়গিরি স্ট্যালিনের মন্তব্য নিয়ে নীরবতা ভাঙল কংগ্রেস। কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের চেয়ারপার্সন পবন খেরা এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ইন্ডিয়া জোটের প্রতিটি পার্টির, প্রত্যেক ধর্ম, সম্প্রদায় এবং বিশ্বাসের প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে।

'উদয়নিধির মন্তব্যে বিশ্বাস নেই', সনাতন ধর্ম বিতর্কে নীরবতা ভাঙল কংগ্রেস
উদয়নিধির মন্তব্যকে সমর্থন করেন না বলে জানালেন পবন খেরাImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2023 | 8:46 PM
Share

নয়া দিল্লি: সনাতন ধর্ম নিয়ে ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিনের করা বিতর্কিত মন্তব্যক সমর্থন করল না কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর), এই বিষয়ে বিবৃত প্রকাশ করে কংগ্রেস জানিয়েছে, তাদের দল ‘সর্ব ধর্ম সম্ভাব’, সকল ধর্মের প্রতি সমান সম্মানে বিশ্বাস করে। কোনও বিশেষ ধর্মকে, অন্য ধর্মের থেকে ছোট দেখানোর বিরোধী তারা। এদিন, কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের চেয়ারপার্সন পবন খেরা এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ইন্ডিয়া জোটের প্রতিটি পার্টির, প্রত্যেক ধর্ম, সম্প্রদায় এবং বিশ্বাসের প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে।

তিনি বলেন, “কংগ্রেস সর্বদা সর্বধর্ম সম্ভাবে বিশ্বাসী। প্রতিটি ধর্ম, প্রতিটি বিশ্বাসের সেখানে স্থান রয়েছে। কারও কোনও নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাসকে, অন্য কোনও ধর্মের থেকে ছোট হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। সংবিধানে এর অনুমতি নেই। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসও এই মন্তব্যগুলিতে বিশ্বাসী নয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ইতিহাস পড়লে দেখবেন, আমরা সবসময় এই অবস্থান ধরে রেখেছি। গণপরিষদের বিতরকে এবং সংবিধানেও আপনারা একই নীতি পাবেন। বিধানসভা বিতর্ক এবং ভারতের সংবিধান। কংগ্রেসের মতে, কখনই সংবিধানের পুনর্বিবেচনা করা যায় না।”

উদয়নিধি স্ট্যালিনের মন্তব্যকে সমর্থন না করলেও, সরাসরি তার বিরোধিতার রাস্তাতেও হাঁটবে না কংগ্রেস, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পবন খেরা। তিনি বলেন, “আমি শুধু বলছি যে, আমরা এই ধরনের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই।” এই নিয়ে ডিএমকে-র সঙ্গে কোনও আলোচনাও নিষ্প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। পবন খেরা বলেছেন, “আমরা জানি, ইন্ডিয়া জোটের সব দল প্রতিটি ধর্মকে সম্মান করে। এখন আপনারা যদি কারও মন্তব্য বিকৃত করতে চান, করতেই পারেন। সেই স্বাধীনতা রয়েছে। মন্ত্যব্য়গুলি বিকৃত করা যদি তাঁর পক্ষে উপযুক্ত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী, তবে তা তিনি করতেই পারেন। তবে, ইন্ডিয়া জোটের প্রতিটি সদস্যের সমস্ত সম্প্রদায়, ধর্ম এবং বিশ্বাসের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে।”

জি২০ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এই দুই বড় রাষ্ট্রনেতার অনুপস্থিতি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলে জানান পবন খেরা। এই সকল প্রশ্নের জবাব, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছ থেকে চেয়েছেন তিনি। পবন খেরা বলেছেন, “ইভেন্টগুলি বৃহৎ পরিসরে সংগঠিত হচ্ছে, এটা অত্যন্ত ভাল। তবে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আশা করি, বিদেশমন্ত্রী এই প্রশ্নগুলির জবাব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যখন এত বিপুল ব্যয়ে এত বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, তখন যাতে সকল রাষ্ট্রপ্রধান তাতে অংশগ্রহণ করেন, সেটা নিষ্টিত করার দায়িত্ব থাকে মন্ত্রীদের।”