Air India Pee Case: প্রস্রাব কাণ্ডের শাস্তির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া, পাইলটের লাইসেন্সও সাসপেন্ড করল DGCA

Air India Pee Case: বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডের জেরে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি), এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক, ডিজিসিএ।

Air India Pee Case: প্রস্রাব কাণ্ডের শাস্তির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া, পাইলটের লাইসেন্সও সাসপেন্ড করল DGCA
প্রস্রাব কাণ্ডের বড় খেসারত দিতে হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়াকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2023 | 2:30 PM

নয়া দিল্লি: বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার বড় খেসারত দিতে হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়াকে (Air India Pee Case)। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি), এই ঘটনার জেরে এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক, ডিজিসিএ (DGCA)। ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। এখানেই শেষ নয়, এয়ার ইন্ডিয়ায় যে উড়ানে লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই উড়ানের পাইলটের লাইসেন্স-ও ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, বলেছে ডিজিসিএ। একই কারণে, এয়ার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর-ইন-ফ্লাইট সার্ভিসেসকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর এই ঘটনাটি ঘটেছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি নিউ ইয়র্ক থেকে নয়া দিল্লিগামী বিমানে এক বৃদ্ধা মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শঙ্কর মিশ্র নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার, এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ৪ মাসের জন্য অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের বিমান যাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৪ মাস তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও বিমানে যাত্রা করতে পারবেন না। এর আগে অবশ্য, মাত্র ৩০ দিনের জন্য তাঁর বিমানযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পর, ওই মহিলা উড়ান সংস্থাকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অপরদিকে, অভিযুক্ত লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে গিয়েছিলেন। ডিজিসিএ জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি উড়ান সংস্থা, বরং ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছে। ক্রু সদস্যরা তাঁদের কর্তব্য পালন করেননি। এই প্রেক্ষিতেই এদিনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, গত ৪ জানুয়ারি দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে মহিলার লিখিত অভিযোগটির ভিত্তিতে, শঙ্কর মিশ্রর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।

বিস্ময়করভাবে, আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শঙ্কর মিশ্র। তাঁর আইনজীবী দাবি করেছেন, ওই মহিলার গায়ে প্রস্রাব করেননি তাঁর মক্কেল। বরং মহিলা নিজেই নাকি তাঁর আসনে বসে প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন। তিনি আরও যুক্তি দেন, ওই বৃদ্ধা একজন কত্থক নৃত্যশিল্পী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই নাচের সঙ্গে যুক্ত। তিনি দাবি করেন, কত্থক নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে অনেকেরই প্রস্রাবের উপর সংযম থাকে না। তবে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন কত্থক শিল্পীরা। অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রর দাবির কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি। শঙ্কর মিশ্র এক মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থায় কাজ করতেন। এই কাণ্ডের জেরে সেই সংস্থা তাঁকে বরখাস্ত করেছে।