নয়া দিল্লি: ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে দেশজুড়ে ক্রমশ্য বাড়ছে অশান্তি। সম্প্রতিই রামনবমী (Ram Navami) ও হনুমান জয়ন্তী(Hanuman Jayanti)-তে দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে হিংসা ছড়িয়েছে, সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) হস্তক্ষেপের দাবিতে আর্জি জানানো হল। গোটা ঘটনার যাতে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের কাছে। সমাজকর্মী তথা আইনজীবী বিনীত জিন্দল এদিন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে, এই দাবি জানিয়ে তিনি গোটা ঘটনার তদন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানান।
ওই জনস্বার্থ মামলায় শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, রামনবমী ও হনুমানজয়ন্তীর শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে, তার পিছনে আইসিস বা অন্য কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা, তা সুপ্রিম কোর্ট যেন খতিয়ে দেখে।
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা আর্জিতে বলা হয়েছে, “যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তাতে আইসিস বা অন্য় কোনও দেশবিরোধী ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারতের সামাজিক কাঠামোর ভারসাম্য নষ্ট করছে। ভক্তদের লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছে এবং পাথর ছোঁড়া হয়েছে। এটা দেশের সার্বভৌমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
অপর একটি পিটিশনে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান যে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করা হোক। আইনজীবী অমৃতপাল সিং খালসা দুই পাতার চিঠিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রামনকে সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির নেতৃত্বেই একটি তদন্তকারী কমিটি গঠনের আর্জি জানান নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য। তিনি অভিযোগ করেন যে, দিল্লি পুলিশ যে তদন্ত করছে, তা পক্ষপাতদুষ্ট ও সাম্প্রদায়িক। যারা দাঙ্গায় জড়িত রয়েছে, তাদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ২০২০ সালে দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল, সেই উদাহরণও টেনে আনা হয়।