AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষকরা, রোজ কটুক্তি করে, বিচার চেয়ে জলের ট্যাঙ্কের মাথায় চড়েছিলেন নির্যাতিতা, তারপর যা হল…

Protest: মহিলার অভিযোগ, এলাকারই তিন যুবক বাইকে করে এসে তাঁকে অপহরণ করে এবং গণধর্ষণ করে। পরে ওই মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগে, আদালতেরও দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।

হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষকরা, রোজ কটুক্তি করে, বিচার চেয়ে জলের ট্যাঙ্কের মাথায় চড়েছিলেন নির্যাতিতা, তারপর যা হল...
এই জলের ট্যাঙ্কের উপরই চড়ে বসেন নির্যাতিতা।Image Credit: TV9 ভারতবর্ষ
| Updated on: Jul 10, 2024 | 9:44 AM
Share

লখনউ: নির্মম শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন। সুবিচার তো মেলেইনি, বরং অভিযুক্তরা কটুক্তি করে নিত্যদিন, চাপ সৃষ্টি করে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। সুবিচারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত জলের ট্যাঙ্কের মাথায় চড়ে বসেছিলেন মহিলা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও তিনি নামেননি। শেষ পুলিশ উঠে দেখেন, ঘুমোচ্ছেন নির্যাতিতা! বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গোন্ডা জেলায়। সেখানে এক মহিলা গণধর্ষণের শিকার হন। তাঁর অভিযোগ, এলাকারই তিন যুবক বাইকে করে এসে তাঁকে অপহরণ করে এবং গণধর্ষণ করে। পরে ওই মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগে, আদালতেরও দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। সেখানেও বিশেষ কোনও লাভ না হওয়ায়, তিনি জলের ট্যাঙ্কে উঠে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন।

গোন্ডায় কমিশনারের কার্যালয়ের বাইরে এসে জলের ট্যাঙ্কের উপরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করলেও, কোনও পদক্ষেপ করছে না। এদিকে অভিযুক্তরা ক্রমাগত তাঁকে উত্যক্ত করছে। গালিগালাজ করছে। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।

প্রায় ৫ ঘণ্টা জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠে বসেছিলেন ওই নির্যাতিত মহিলা। পরে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ দীর্ঘক্ষণ সাড়া-শব্দ না পেয়ে, উপরে ওঠে। দেখতে পান, ওই মহিলা ঘুমিয়ে রয়েছেন। তাঁকে ঘুম থেকে উঠিয়ে, নীচে নামিয়ে আনা হয়।

এই ঘটনা সম্পর্কে এএসপি মনোজ কুমার জানান, আদালতের নির্দেশে নবাবগঞ্জ থানায় ধর্ষিতার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গণধর্ষণ ও অন্যান্য ধারায় তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করবে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারাবগঞ্জ থানায় কেস ফাইলটি পাঠানো হলেও, পুরনো তদন্তের ফাইল ফেরত দেওয়া হয়। এখন বিষয়টি আবার তদন্ত করা হচ্ছে।