
নয়াদিল্লি: রবিবার বিকাল। কলম্বোর পি সারা ওভালে দৃষ্টিহীন মহিলাদের উদ্বোধনী টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। আবার ইতিহাস লিখল ভারতের মেয়েরাই। জাতীয় পতাকা নিয়ে হাতে হাত রেখে মাঠের মাঝখান পর্যন্ত দৌড়ে এলেন তাঁরা। এনারা প্রত্যেকেই দৃষ্টিহীন। কেউ আংশিক, কেউ সম্পূর্ণ। কিন্তু প্রত্য়েকেই অনন্য়। আলোর পথযাত্রী।
নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতের মেয়েরা। নেপালের দেওয়া ১৫১ রানের টার্গেট মেয়েরা পূরণ করেছে মাত্র ১২.১ ওভারে। এই ঘটনার তিন সপ্তাহ আগেই ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ২০২৫ সালের মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল। এরপর সরাসরি দৃষ্টিহীন মহিলা বিশ্বকাপ। বলে রাখা প্রয়োজন, এই টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়েছিল এই প্রথমবার। তাতেই জয় ভারতের মেয়েদের।
একাংশের মতে, মহিলা বিশ্বকাপের মতো দৃষ্টিহীন মহিলাদের বিশ্বকাপ সাড়া ফেলেনি মানুষের মনে। ভাসতে পারেনি ট্রেন্ডের জোয়ারে। তবে সেই ট্রেন্ডে ভাসেননি প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ জয়ী দৃষ্টিহীনেদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি স্বাক্ষরিত ব্য়াট তুলে দেন মেয়েরা। মোদীও নিজের স্বাক্ষর করা একটি বল তুলে দেন ক্রিকেটারদের হাতে।
রবিবার অর্থাৎ মেয়েদের জয়ের দিনেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারতীয় দৃষ্টিহীন মহিলাদের ক্রিকেট টিমকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁরা উদ্বোধনী বিশ্বকাপেই ইতিহাস গড়লেন। প্রথম টুর্নামেন্টেই ভারতের হাতে বিজয়ী পতাকা তুলে দিলেন।’
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের এই উদ্বোধনী মহিলা দৃষ্টিহীন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ছয়টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল – ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। টুর্নামেন্টটি ১১ নভেম্বর দিল্লিতে শুরু হয়েছিল, এই অনুষ্ঠানের কয়েকটি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। এরপর নকআউট পর্ব হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়।