করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের বিপুল চাহিদা, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক নমোর

২০ টি রাজ্যের দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ৬ হাজার ৭৮৫ মেট্রিক টন। সেদিকে নজর দিয়ে ২১ এপ্রিল থেকে রাজ্যগুলিকে ৬ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেন বরাদ্দ করেছে।

করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের বিপুল চাহিদা, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক নমোর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 22, 2021 | 4:43 PM

নয়া দিল্লি: দেশ জুড়ে উর্ধমুখী করোনার গ্রাফ। এই আবহে দেশের হাসপাতালগুলিতে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা। পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে উচ্চপদস্থদের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।

এদিন হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের চাহিদা এবং কীভাবে সরবরাহ (Oxygen Supply) ব্যবস্থা আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন উচ্চ পদস্থ আধিকারিররা। গত কয়েক সপ্তাহে কীভাবে অক্সিজেন সংকট মেটাতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তাঁরা। অন্যদিকে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন উৎপাদন, সরবরাহ এবং কত তাড়াতাড়ি তা হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন নমো।

এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানানো হয়, অক্সিজেন সরবরাহ ইস্যুতে সমন্বয় বজায় রাখতে রাজ্যগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ২০ টি রাজ্যের দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ৬ হাজার ৭৮৫ মেট্রিক টন। সেদিকে নজর দিয়ে ২১ এপ্রিল থেকে রাজ্যগুলিকে ৬ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেন বরাদ্দ করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনে রাজ্যেগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ অনেকটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্টিল প্লান্টগুলিতে থাকা অতিরিক্ত অক্সিজেনকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। স্টিল প্লান্টগুলিতে থাকা অতিরিক্ত অক্সিজেনকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

তাছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী ট্যাঙ্কার যাতে দেশের সর্বত্র বিনা বাধায় যেতে পারে, তার উপর বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এছাড়া যেসব কারখানায় সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভর্তি করার কাজ চলে, সেগুলিকে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেন বহনকারী ট্যাঙ্কারের অভাব মেটাতে নাইট্রোজেন বহনকারী ট্যাঙ্কারগুলিকে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে সেগুলিতে করে অক্সিজেন বহন করা যায়।

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের স্বাস্থ্য সচিব ও আধিকারিক, সড়ক ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিক, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নীতি আয়োগের সদস্য।

আরও পড়ুন: টিকাকরণে ‘জাতীয় পরিকল্পনা’ কী? ‘আপদকালীন পরিস্থিতিতে’ কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে নতুন গাইডলাইন জারি করে বলা হয়েছে, মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে যাতে কোথাও বাধা না হয় সেই দিকে সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নজর দিতে হবে। মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে কোথাও সমস্যা তৈরি হলে তার দায় বর্তাবে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপরে।  সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে এই গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র।