টিকাকরণে ‘জাতীয় পরিকল্পনা’ কী? ‘আপদকালীন পরিস্থিতিতে’ কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

দেশের সর্বোচ্চ আদালত করোনা আবহে কেন্দ্রের 'জাতীয় পরিকল্পনা' দেখতে চাইল।

টিকাকরণে 'জাতীয় পরিকল্পনা' কী? 'আপদকালীন পরিস্থিতিতে' কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের কাছে কড়া ভাষায় ধমক খেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
Follow Us:
| Updated on: Apr 22, 2021 | 1:55 PM

নয়া দিল্লি: গোটা দেশে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। মারণ ভাইরাসকে রুখতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে একাধিক রাজ্য। অক্সিজেনের অভাব, শয্যা সঙ্কট, রমডেসিভিরের ঘাটতি। একাধিক সমস্যায় জেরবার গোটা দেশ। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন আদালতে। সেই আবহেই অক্সিজেনের জোগান, টিকাকরণের পদ্ধতি ও ওষুধের জোগান পদ্ধতি জানতে চেয়ে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত করোনা আবহে কেন্দ্রের ‘জাতীয় পরিকল্পনা’ দেখতে চাইল। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, “আমরা এই সমস্যায় আপনাদের জাতীয় পরিকল্পনা দেখতে চাই।” দেশের ৬ হাইকোর্টে এই ধরনের আবেদনের শুনানি চলছে। যেখানে আলোচ্য বিষয় শয্যা সঙ্কট, অক্সিজেন ও রেমডেসিভির। এ বার সেই আলোচনায় অংশ নিয়েই কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি পরিস্থিতিকে জাতীয় আপকালীন অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এসএ বোবদে বলেন, “আমরা ৬ হাইকোর্টে যে বিষয় আলোচনা হচ্ছে তার জন্য স্বতপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে পারি। দিল্লি, বম্বে, সিকিম, মধ্য প্রদেশ, কলকাতা ও এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ বিষয়ে সকলের ভাল দেখছে। কিন্তু তারপরেও কিছু বিভ্রান্তি থেকে যাচ্ছে।”

কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনও ব্যক্তি পয়লা মে থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। পাশাপাশি অক্সিজেনের সমস্যা মেটানোর জন্য ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ চালু করেছে রেল। সেই মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে ভর্তি হয়ে ট্যাঙ্ক অন্যত্র পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও সম্ভব হচ্ছে না অক্সিজেনের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটানো।

দিল্লি হাইকোর্ট আগেই এই সমস্যাগুলি নিয়ে কার্যত তুলোধনা করেছে কেন্দ্রের। রাজধানীতে লাগাতার বাড়তে থাকা অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে একাধিক গুরুতর প্রশ্ন তুলে মোদী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। “অক্সিজেনের অভাবে জনগণের হাহাকার দেখতে পেয়েও সরকার কেন বাস্তব পরিস্থিতি স্বীকার করতে চাইছে না?” এই প্রশ্ন তুলেও কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছিলেন বিচারপতি। আদালত জানিয়েছিল, হাসপাতালগুলিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। তাই আমরা যে কোনও উপায়ে বাঁচার মৌলিক অধিকার রক্ষা করার নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিচ্ছি। প্রয়োজনে শিল্পের জন্য ব্যবহার হওয়া সমস্ত অক্সিজেন ব্যবহার করা হোক।

আরও পড়ুন:  ৩ লাখ দৈনিক আক্রান্তে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড গড়ল ভারত