AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Swiggy হোক বা Blinkit, ৩১ ডিসেম্বর পাবেন না কোনও অনলাইন ডেলিভারি, জানুন কেন?

Online Delivery: কর্মীদের দাবি, একটি স্বচ্ছ ও নায্য বেতন কাঠামো তৈরি করা হোক। বিশেষ করে ১০ মিনিট ডেলিভারি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি আইডি ব্লকিং ও জরিমানার নিয়ম প্রত্যাহার, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য সেফটি গিয়ার দেওয়া, নিশ্চিতভাবে কাজের সুযোগ দেওয়া, কাজে সম্মান দেওয়া, গ্রাহকরা যাতে মানুষের মতো ব্যবহার করে, সেই দাবি জানানো হয়েছে।

Swiggy হোক বা Blinkit, ৩১ ডিসেম্বর পাবেন না কোনও অনলাইন ডেলিভারি, জানুন কেন?
ফাইল চিত্র।Image Credit: PTI
| Updated on: Dec 26, 2025 | 7:30 AM
Share

নয়া দিল্লি: বছরের শেষভাগে উৎসব-আনন্দে মেতে সবাই। অনেকেই বাড়িতে পার্টি করেন। তবে অনলাইনে কেনাকাটা হোক বা ইন্সট্যান্ট ডেলিভারির অর্ডার- বছর শেষে পাবেন না কিছুই। তার কারণ ডেলিভারি ও গিগ ওয়ার্কাররা দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছেন।

২৫ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর- এই দুটি দিন সুইগি, জ্যোমাটো, জেপ্টো, ব্লিঙ্কিট, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট সহ অন্যান্য ই-কমার্স সাইটে যারা ডেলিভারির কাজ করেন, তারা এই বনধের ডাক দিয়েছেন। খারাপ কাজের পরিবেশ, নায্য বেতন দিতে অস্বীকার, কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা ও সম্মানের দাবিতেই তারা বনধ ডেকেছেন। ২৫ ডিসেম্বরের থেকেও ৩১ ডিসেম্বর আরও জোরদার বনধ করার পরিকল্পনা।

তেলঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কারস ইউনিয়ন (TGPWU) এবং ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাপ বেস ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কারের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “শেষ মুহূর্তে ডেলিভারির, বিশেষ করে উৎসবের মরশুম ও পিক আওয়ার্সে জিনিস পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে শিরদাঁড়া হওয়া সত্ত্বেও,, কর্মীদের জোর করে দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য় করা হচ্ছে। তাদের আয় কমছে, এমন টার্গেট দেওয়া হচ্ছে, যা পূরণ করতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। আইডি ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে, কাজে কোনও সুরক্ষা নেই।”

কর্মীদের দাবি, একটি স্বচ্ছ ও নায্য বেতন কাঠামো তৈরি করা হোক। বিশেষ করে ১০ মিনিট ডেলিভারি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি আইডি ব্লকিং ও জরিমানার নিয়ম প্রত্যাহার, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য সেফটি গিয়ার দেওয়া, নিশ্চিতভাবে কাজের সুযোগ দেওয়া, কাজে সম্মান দেওয়া, গ্রাহকরা যাতে মানুষের মতো ব্যবহার করে, সেই দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া কাজের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া, বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্রাম নেওয়ার সময়, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, চাকরির নিশ্চয়তা, স্বাস্থ্য বিমা, অ্যাক্সিডেন্ট কভারেজ ও পেনশনের মতো সুবিধার দাবিও জানিয়েছেন তারা।  সরকারকেও এই বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা।