AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: ‘৫টি দফতর ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি…’, শুভেন্দুর কথা শুনে শমীক বললেন, ‘সম্পৃক্ত হয়েছেন’

Suvendu Adhikari on BJP: ওই মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'বিভিন্ন দল থেকে অনেকেই বিজেপিতে এসেছেন। যার নেপথ্য়ে আমি মূলত তিনটি কারণ দেখতে পাই। প্রথম, এক দল আসেন রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে। দ্বিতীয়, নির্বাচনে জেতা অথবা হারার উদ্দেশ্যে, তৃতীয় কারণ বা তৃতীয় দল হল আসে সব পদ ছেড়ে। আমি তৃতীয় দলের অংশ।'

Suvendu Adhikari: '৫টি দফতর ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি...', শুভেন্দুর কথা শুনে শমীক বললেন, 'সম্পৃক্ত হয়েছেন'
বাঁদিকে শমীক ভট্টাচার্য, ডানদিকে শুভেন্দু অধিকারীImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2025 | 12:07 AM
Share

কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার দেশের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে একটি স্মরণ সভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘অটল স্মরণ’ সভার আয়োজন করেছে বঙ্গ বিজেপিও। জাতীয় গ্রন্থাগারে ছিল তাঁদের অনুষ্ঠান। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের প্রায় সর্বস্তরের নেতারাই।

এদিন সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। ওই মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দল থেকে অনেকেই বিজেপিতে এসেছেন। মূলত তিন ধরনের গোষ্ঠী এখানে দেখা যায়। প্রথম দল আসেন রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে। দ্বিতীয় দল নির্বাচনে জেতা অথবা হারার উদ্দেশ্যে, তৃতীয় দল আসে সব পদ ছেড়ে। আমি তৃতীয় দলের অংশ।’

শুভেন্দুর কথায়, ‘৫টি দফতর ছেড়ে, তিনটি বড় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছেড়ে, আমি বিজেপিতে এসেছি। অনেকেই পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী পালানোর লোক নয়।’ অবশ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুনে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালান। তবে আমি আশা করব, তিনি আর অতীতের কথা টানবেন না। কারণ তিনি বিজেপিতে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছেন।’

এসব শুনেই খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। জেলের ভয়েই ‘পালিয়েছে’ বলে কটাক্ষ তাঁর। অরূপের কথায়, ‘উনি তো নিজেই বলেছেন নারদা-কাণ্ডে ওই ভিডিয়োটি বাদে ওনার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। উনি জানেন, দল ছাড়লে জেলে যেতে হবে। সকলের মেরুদণ্ড সোজা হয় না। যাঁরা মেরুদণ্ড বিক্রি করেন, তাঁদের নাম শুভেন্দু অধিকারী, যাঁরা করেন না তাঁদের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।’

সমন্বয়ের বার্তা শমীকের

দোরগোড়ায় নির্বাচন, বহমান বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন — এই আবহে দলের পদ, কমিটি, টিকিট ভুলে লড়ার বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, ‘কে কোন মণ্ডলে আছেন, কে কোন দায়িত্বে আছেন বড় কথা নয়। এখন মনে রাখবেন এসআইআর-ই বিজেপি আর বিজেপি-ই এসআইআর। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার লিস্টের যা অবস্থা সতর্ক হোন।’ কমিটি বা ভোটে প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা ভুলে লড়াইয়ের বার্তাই দিয়েছেন শমীক।

রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘কমিটি-টমিটি ভুলে যান। প্রার্থী কে হবে ছাড়ুন। যে বসে আছে, কলার ধরে টেনে তুলুন। বলুন লড়। না পারলে না আমাকে দে। বসে থাকবেন না। এসআইআর নিয়ে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। পদ পাই বা না পাই, কমিটিতে থাকি বা না থাকি মরার পর যেন দেহের ওপর বিজেপির পতাকাটা থাকে। এই লড়াই শেষ লড়াই, না হলে আমরা আর দলটা করতে পারব না।’