
নয়াদিল্লি: একটা বৈঠক আগামিকাল। অন্যটা পরের সপ্তাহে। কিন্তু দু’টোর তাৎপর্যই এই রাজধানীর রাজনীতিতে অনেকটা। অপারেশন সিঁদুরের পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। দিল্লিতে বসে মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাহুল। অন্যদিকে, বাংলা থেকে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু তারা তো শরিক। তাই দাবিও তো এক জোট হয়েই বলা উচিত। সম্ভবত সেই বুদ্ধিরই এবার আগমন ঘটেছে। সূত্রে খবর, বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে এক জোট হতে চলেছে ‘ক্ষয়ে যাওয়া’ ইন্ডিয়া ব্লক। আগামিকাল কেন্দ্রীয় সরকারের উপর বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে চাপ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেই নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে দেশের বিরোধী শিবির ইন্ডিয়া ব্লক। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে হতে পারে এই বৈঠক।
কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের এই বৈঠকে হাজির থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাও। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, আগামিকালই বিদেশসফর সেরে ভারতের ফেরার কথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তবে সেই বৈঠকে তিনি থাকবেন কিনা তা নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
একদিকে যখন মোদীর উপর চাপ বাড়াতে বৈঠকের তোড়জোড় করছে ইন্ডি ব্লক। সেই সময়ই আরও এক বৈঠকের আয়োজন কেন্দ্রের। নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, ভারতে ফেরার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক বসতে পারে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল। সিঁদুর ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই নিয়ে বিশ্ব দরবারে বার্তা পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন তারা। অবশেষে চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরতে চলেছে সেই সাত দল।
জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা ঠিক মতো দেশে ফিরে এলে আগামী সপ্তাহেই বৈঠক বসাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের আগে সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করবেন। গোটা সফর পর্বে ঠিক কী হয়েছে সেই নিয়ে ঘটনাক্রম জানাবেন। তারপর সেই ভিত্তিতে মোদীর বৈঠকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেবেন বিদেশমন্ত্রী।