PM Modi’s Speech in Mann ki Baat: ‘পরিবারের মতো একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ’, বর্ষশেষের ‘মন কি বাতে’ আবেগঘন নমো

Mann ki Baat: এ দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "আমরা এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যখন ২০২১ সালকে বিদায় জানিয়ে, ২০২২ সালকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। আসুন এই সময়ে দাঁড়িয়েই আমরা শপথ নিই যে আরও ভাল কিছু করার।"

PM Modi's Speech in Mann ki Baat: 'পরিবারের মতো একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ', বর্ষশেষের 'মন কি বাতে' আবেগঘন নমো
মন কি বাতে ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2021 | 12:28 PM

নয়া দিল্লি: আরও একটা বছরকে বিদায় জানাতে চলেছি আমরা। বছরের শেষ “মন কি বাত” (Mann ki Baat) অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুটা আবেগঘনই হয়ে পড়লেন। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে দেশের করোনা ও ওমিক্রন পরিস্থিতিই বিশেষ গুরুত্ব পেলেও একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সাধারণ মানুষের অবদানের কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী।

শনিবারই টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, চলতি বছরের শেষ মন কি বাত অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতে চলেছে রবিবার সকাল ১১টায়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছিলেন, আজকের ৮৪ তম পর্বই বছরের শেষ পর্ব হতে চলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অনুষ্ঠানের জন্য নানা পরামর্শ পেয়েছেন তিনি। আগামিদিনেও যাতে বিভিন্ন ক্ষেত্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন দেশবাসী, সেই অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমরা এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যখন ২০২১ সালকে বিদায় জানিয়ে, ২০২২ সালকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। আসুন এই সময়ে দাঁড়িয়েই আমরা শপথ নিই যে আরও ভাল কিছু করার, আগামী বছর যাতে আরও ভাল হয় এং আমরাও যাতে নিজেদের আরও ভাল করে তুলতে পারি, সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যেতে হবে।”

মন কি বাত অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিগত সাত বছর ধরে আমাদের মন কি বাত অনুষ্ঠান সাধারণ মানুষকে আরও ভাল, আরও উন্নতি করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের ভাল দিক গুলি তুলে ধরে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে। আমার কাছে মন কি বাত অনুষ্ঠান সরকারের কাজগুলিকে তুলে ধরার জায়গা নয়। হয়তো সহজেই এই কাজ করা যেত, তবে এই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবেই সমাজের তৃণমূল স্তরের মানুষ, যারা পরিবর্তন আনছেন, তাদের সেই উদ্যোগ-প্রচেষ্টাগুলিকে তুলে ধরার একটি মঞ্চ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, সংবাদমাধ্যমে প্রচার, খবরের কাগজের হেডলাইন থেকে দূরে থেকেও এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যারা দারুণ কাজ করছেন। তারা নিজেদের বর্তমানকে ব্যয় করছেন দেশের ভবিষ্যৎ তৈরি করার জন্য। দেশের আগামী প্রজন্ম যাতে সুষ্ঠ সমাজ, পরিবেশ পায়, তার জন্য ওনারা মন-প্রাণ দিয়ে পরিশ্রম করছেন। এই ধরনের মানুষদের কথা আলাদাই একটা প্রশান্তি দেয় ও অনুপ্রেরণা জোগায়।”

দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশ আজ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র জনশক্তির মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। দেশে টিকাকরণের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতেই আমাদের দেশের গবেষকদের উদ্বাধনী শক্তি ও সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ফুটে উঠছে। করোনাকালে একটি পরিবার হিসাবে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, ওমিক্রন প্রবেশ করেছে। এই সময়ে আমাদের অতি সতর্ক থাকতে হবে এবং সর্বক্ষণ করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। নতুন বছরের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে আমাদের শপথ নিতে হবে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের প্রচেষ্টা যাতে আরও বৃদ্ধি পায়।”

নিজেদের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য় বইয়ের থেকে ভাল বিকল্প কিছু হতে পারে না, এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সকলকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আসুন, বই পড়াকে আরও জনপ্রিয় করে তুলি। আমি সকলকে বলছি আপনারা জানান এই বছর কী কী বই পড়েছেন। এর মাধ্যমে বাকিরাও ২০২২ সালের জন্য তাদের বইয়ের তালিকা তৈরি করে নিতে পারবেন”। প্রতি বছরের মতো ২০২২ সালেও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় “পরীক্ষা পে চর্চা” অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী।

চলতি মাসেই তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং সহ ১৪ জনের। সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে সকলকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় একমাত্র রক্ষা পেয়েছিলেন বরুণ সিং। এক সপ্তাহ ধরে তিনি যে জীবনযুদ্ধ চালিয়েছিলেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং ওনার শেষ নিশ্বাস অবধি লড়াই চালিয়েছিলেন, কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। ওনাকে এই বছরই অগস্ট মাসে শৌর্য চক্র দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছিল। উনি নিজের স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছেও একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন , যেখানে তিনি বলেছিলেন, শুধু ভালই নয়, মাঝারি মানের হলেও কোনও ক্ষতি নেই। ওনার এই চিঠি আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।”

আরও পড়ুন: Omicron Cases in India: চুপিসারেই থাবা চওড়া করছে ওমিক্রন, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪২২-এ