থিম্পু: অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই সাহায্যকে সম্মান জানাতেই ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হল নরেন্দ্র মোদীকে। শুক্রবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই কথা জানান।
এ দিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ন্য়াদাগ পেল গি খেরলো সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। করোনা পরিস্থিতিতে ভারত যেভাবে চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে ভুটানকে সাহায্য করেছিল, সেই সাহায্যের ধন্যবাদ জানাতেই এই সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে।
Overjoyed to hear His Majesty pronounce Your Excellency Modiji’s @narendramodi name for the highest civilian decoration, Order of the Druk Gyalpo.https://t.co/hD3mihCtSv@PMOIndia @Indiainbhutan pic.twitter.com/ru69MpDWlq
— PM Bhutan (@PMBhutan) December 17, 2021
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে সেরিং নিজেই টুইট করে লেখেন, “মোদীজির অসাধারণত্বকে সম্মান জানাতে ভুটানের সর্বোচ্চ সম্মান, ন্য়াদাগ পেল গি খোরলো ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অত্যন্ত খুশি।”
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও ফেসবুক পোস্টেও লেখা হয়, “বছরের পর বছর ধরে, বিশেষ করে করোনা অতিমারির সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীজি যেভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাকেই তুলে ধরেছেন মহামান্য রাজা। যথাযোগ্য ব্যক্তিকেই সম্মান দেওয়া হচ্ছে! ভুটানের সমস্ত মানুষের পক্ষ থেকে অনেক অভিনন্দন। বিগত সমস্ত আলাপচারিতাতেই একজন অসাধারণ, আধ্য়াত্মিক মানুষ হিসাবে আপনাকে মনে হয়েছে। সশরীরে এই সম্মান উদযাপনের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।”
আজ ভুটানের জাতীয় দিবস। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে দেশের সমস্ত মানুষকে অভিবাদন জানান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই কঠিন লড়াই লড়তে হয়েছে ভারতকে। তবুও প্রতিবেশী দেশগুলির দিক থেকে কখনও মুখ ফিরিয়ে নেয়নি ভারত। দেশে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সামলিয়ে উঠতেই বিভিন্ন দেশে ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য করেছে ভারত।
চলতি বছরেরই ভারত যখন ১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে, সেই সময়ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। একইসঙ্গে দেশ পরিচালনে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা ও সাহসিকতারও প্রশংসা করেছিলেন। ভারতের প্রতিবেশী দেশ হওয়ায়, ভুটানও সুরক্ষিত অনুভূত করে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
গত মাসেই বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা হিসাবে উঠে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেখা গিয়েছে, দেশ তথা বিশ্বের মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৭০ শতাংশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলকেও পিছনে ফেলে দেন তিনি।
এই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান পেলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর আগে ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আমেরিকায় “লিজিওন অব মেরিট” সম্মানে ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তার আগে ২০১৯ সালেও বাহরিন সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে “কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনিয়াস্য়ান্স” সম্মানে ভূষিত করা হয়। মলদ্বীপের তরফেও “ইজুহিদ্দিনের বিশেষ আদেশ” সম্মান জানানো হয়।
২০১৯ সালে রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে “অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু” সম্মানে ভূষিত করা হয়। সংযুক্ত আর আমিরশাহি “অর্ডার অব জায়েদ” সম্মান জানানো হয়। প্য়ালেস্তাইনও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে “গ্রান্ড কলার অব গ্য স্টেট অব প্যালেস্তাইন” সম্মান দেওয়া হয়। আফগানিস্তান ও সৌদি আরবও প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত করেছে।