নয়া দিল্লি: সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। তার আগেই দেশে ফের একবার দানা বাঁধতে শুরু করেছে পেগাসাস বিতর্ক(Pegasus)। ইজরায়েলি ওই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে দেশের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল বলেই দাবি বিরোধীদের। যখন ফের একবার আড়িপাতা কাণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, সেই মুহূর্তেই ইজরায়েলের (Iseael)সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। শনিবার তিনি বলেন, “ভারত-ইজরায়েলের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং নতুন লক্ষ্য স্থির করার জন্য এর থেকে ভাল সময় আর হয় না।”
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ৩০ বছর পূরণ হওয়াতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি বিশেষ ভিডিয়ো বার্তা দেন। সেই বার্তাতেই তিনি বলেন, “ভারত ও ইজরায়েলের মানুষ বরাবরই নিজেদের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক ভাগ করে নিয়েছে। এই দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ৩০ বছর আগে এই দিনেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছিল। ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কয়েক দশক ধরে জিউশ সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশেই ভারতে বসবাস করছেন। তাদের কোনও প্রকার বিদ্বেষের সম্মুখীনও হতে হয় না। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, যেই সময় গোটা বিশ্ব জুড়েই উল্লেখ্যযোগ্য পরিবর্তন আসছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ভারত ও ইজরায়েলের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। ভারত স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে, আগামী বছর ইজরায়েলও তাদের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপন করবে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিত কূটনৈতিক সম্পর্কও ৩০ বছর পূর্ণ করল, তাই এর থেকে ভাল কোনও সময় হতে পারে না মিলিত সহযোগিতার নতুন লক্ষ্য স্থির করার।
তিনি আরও বলেন, “৩০ বছর সম্পর্কের এই মাইলফলক পার করায় আমি সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আগামিদিনে ভারত ও ইজরায়েলের বন্ধুত্ব নতুন রেকর্ড তৈরি করবে, এই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।”
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরই ভারত ইজরায়েলকে দেশ হিসাবে গ্রহণ করলেও, দুই দেশের মধ্য়ে পাকাপাকিভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হয় ১৯৯২ সালের ২৯ জানুয়ারি। এরপর থেকেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই ভারতে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন বলেন, “ভারত ও ইজরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর পূরণই একটি ভাল সুযোগ আগামী ৩০ বছরের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করার জন্য।”
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইয়ের লাপিদ যুগ্ম বিবৃতিতে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের শিকড় আরও মজবুত হল।”