নয়া দিল্লি : বিশ্বজোড়া খ্যাতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বিশ্বের নেতাদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। বুড়ো থেকে বাচ্চা-সবার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী একটা জায়গা করে নিয়েছেন। সোমবার তিনদিনের ইউরোপ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উদ্দেশেই প্রথমদিন সোমবার তিনি জার্মানিতে পৌঁছোন। সেখানে ভারতীয় প্রবাসীরা তাঁকে স্বাগত জানান। মোদীকে এক পলক দেখার জন্য বার্লিনে হোটেল অ্যাডলন কেমপিন্সকি তে অভিভাবকদের হাত ধরে জড়ো হয় কচিকাঁচারা। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে জয়ধ্বনি দেওয়া শুরু করেন তাঁরা। খুশির হাসি বাঁধ ভেঙে পড়ে খুদেদের চোখে। মোদীকে দেখে উচ্ছ্বসিত ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা। এদিন মোদীর সঙ্গে কচিকাঁচাদের মিলে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
মোদীর ছবি এঁকেছে এক খুদে। নাম মান্য মিশ্র। চার বছরের এই মেয়েটির আঁকা মোদীর ছবিতে স্বাক্ষর করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। মুগ্ধও হন মোদী। তারপর আরেকটি দৃশ্য ভেসে ওঠে ক্যামেরায়। এক ছোট্ট ছেলে মোদীকে দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি করে শোনাচ্ছে। সেই আবৃত্তির তালে তালে বাঁ হাতে তুড়ি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আবৃত্তি শেষে ছেলেটির পিঠ চাপড়ে বাহবাও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তা যে ছোট্ট ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে সেই ছবিই এদিন ফের ধরা পড়ল। মোদীর সঙ্গে একটিবার হাত মেলানোর জন্য অপেক্ষা করছিল তারা।
তবে মোদীর বাচ্চাদের প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বহুবার এই ছবি দেখা গিয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর প্রথম জাপান সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে টোকিও-র একটি স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে একেবারে মিশে যান তিনি। সেখান থেকে ফিরে শিক্ষক দিবসে মোদী বাচ্চাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এই ঘটনা ইতিহাসে প্রথম বলা যায়। বাচ্চাদের সঙ্গে তাঁকে বেশ মজা করে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। এরপর প্রতিবছর শিক্ষক দিবসে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এবং তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি প্রতি বছর পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁদের চিন্তা দূর করার জন্য। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নিজের জন্মদিন উদযাপনও বাচ্চাদের সঙ্গে করতে দেখা গিয়েছে মোদীকে। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরই যে তাঁর শিশুপ্রেম জেগে উঠেছে, এমনটা নয়। গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী থাকাকালীনও তিনি শিশুদের বিষয়ে খুব স্পর্শকাতর ছিলেন।
হোটেলে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি তাঁর শিশুদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কারণ সম্বন্ধেও জানান। তিনি জানিয়েছেন যে, এই ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে তাঁর ব্যাটারি চার্জ হয়। তিনি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন : PM Modi in German : ‘ইউক্রেন যুদ্ধে কোনও দেশেরই জয় হবে না,’ জার্মানিতে দাঁড়িয়ে বললেন মোদী