নয়া দিল্লি : এটা নতুন ভারত। এই নতুন ভারত সমস্যার সমাধান করতে জানে। রবিবার এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, নতুন ভারত বছরের পর বছর ধরে দেশে যে “মনোভাব” প্রচলিত ছিল, তা পাল্টে দিয়েছে। এখন কোনও সমস্যা সমাধানে দেরি করার পরিবর্তে সেই সমস্যার সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে বেশি পছন্দ করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী দিল্লিতে আয়োজিত ব্যাঙ্ক আমানত বীমা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, “ব্যাঙ্ক বাঁচাতে হলে আমানতকারীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা ব্যাঙ্কগুলিকে বাঁচিয়েছি এবং আমানতকারীদের নিরাপত্তা দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের দিনটি ব্যাঙ্কিং সেক্টর এবং অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজকের দিনটি এই সত্যের প্রতীক যে সরকার সবসময় ‘আমানতকারীদের আগে’ রেখেছে। আমানতকারীরা অগ্রগণ্য, এই অনুষ্ঠানের নাম গ্রাহকদের এবং তাদের চাহিদার প্রতি আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্বকে প্রতিফলিত করে।” রবিবারের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর সময়কালকেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বলেন, সেই সময় তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারকে “ব্যাঙ্ক ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্সে কভার ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার” অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু “কোনও লাভ হয়নি”।
আগের সরকার সেই কাজ করতে না পারার কারণেই দেশের আমজনতা তাঁকে এখন এখানে পাঠিয়েছে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরাসরি কারও নাম না নিলেও প্রধানমন্ত্রী যে আসলে কংগ্রেস সরকারকে খোঁচা দিয়েই এ কথা বলেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “ব্যাঙ্কগুলি লোকসানের মুখে পড়লেও আমানতকারীদের সময়সীমার মধ্যে তাদের অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য সরকার আইনে পরিবর্তন করেছে।”
প্রতি ব্যাঙ্কে আমানতকারী প্রতি ৫ লাখ টাকা আমানত বীমা কভারেজ সহ, পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের শেষে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা মোট অ্যাকাউন্টের ৯৮.১ শতাংশ ছিল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরায়ু নহর জাতীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “২৫-৩০ বছর আগে এই প্রকল্প যখন শুরু হয়েছিল তখন বরাদ্দ ছিল ১০০ কোটি টাকা, এখন এই প্রকল্পের খরচ বেড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা আপনাদের, সেই টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। আগের সরকার গাফিলতি না করলে অনেক দিন আগে থেকেই কৃষকরা এর উপকার পেতেন। যাঁরা এই অন্যায় করেছেন, তাদের শাস্তি পাওয়া উচিৎ কিনা আপনারাই বিবেচনা করবেন। যে কাজ ৫০ বছরে হয়নি, সেই কাজ আমরা ৫ বছরে করেছি। এটাই ডবল ইঞ্জিন সরকারের লাভ।”