PM Narendra Modi: ‘গণতান্ত্রিক সমাজ রক্ষায় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির অবদান রাখা উচিত’, মার্কিন সামিটে বললেন প্রধানমন্ত্রী
PM Narendra Modi on Democratic Society: ভারতীয় সভ্য়তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারতীয় সভ্যতার লোকাচার ও বিচার ব্যবস্থাই গণতন্ত্রের ধারণার অন্যতম উৎস।"
নয়া দিল্লি: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলতে ভালবাসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আধুনিক প্রযুক্তি(Technology)-কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে সমাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার উপরও বরবারই বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজ সংরক্ষণে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি(Technology Firms)-র অবদান রাখা উচিত।” তাঁর মতে, গণতন্ত্রকে ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে প্রযুক্তি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) গণতন্ত্র নিয়ে একটি সামিটের আয়োজন করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা এই সামিটে যোগ দিয়েছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী সংবেদনশীলতা, জবাবদিহি করা, অংশগ্রহণ এবং সংস্কারের অভিমুখকেই ভারতীয় গণতান্ত্রিক শাসনের চারটি স্তম্ভ হিসেবে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “বিশ্ব পরিচালনের ক্ষেত্রেও গণতন্ত্রের নীতি অনুসরণ করা উচিত, কারণ এটি নতুন পথ দেখাতে পারে।”
ভারতীয় সভ্য়তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সভ্যতার লোকাচার ও বিচার ব্যবস্থাই গণতন্ত্রের ধারণার অন্যতম উৎস। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বহুত্ববাদী লোকাচার সহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক চেতনা ভারতীয়দের মধ্যে অনেক আগে থেকেই রয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়রাও এই চেতনাকেই অনুসরণ করেন, সেই কারণে ভিন দেশের সমাজ কল্যাণ ও সম্প্রীতিতেও এর ছাপ দেখা যায়।”
বক্তৃতার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী জানান, ৭৫ বছর আগে এই দিনেই ভারতের গণপরিষদ তার প্রথম অধিবেশনের আয়োজন করেছিল। সূত্রের দাবি, এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক দেশগুলির সংবিধানে যে মূল্যবোধের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, তা বাস্তবে পূরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ জোর দেন।
তিনি ওই ভার্চুয়াল সভায় বলেন,”বিশ্ব শাসন ও পরিচালনের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের নীতিরও বিশেষ ভূমিকা থাকা উচিত। যেহেতু প্রযুক্তি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাই প্রযুক্তি সংস্থাগুলির উচিত গণতান্ত্রিক সমাজ সংস্কার ও তাকে উন্মুক্ত রাখার লক্ষ্য়ে বিশেষ অবদান রাখা উচিত।”
জানা গিয়েছে, বিসেব নেতাদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের আয়োজন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই অনুষ্ঠানেই বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। রুদ্ধদ্বার এই অধিবেশনে ভারত সহ বিশ্বের মোট ১২টি দেশের শীর্ষনেতারা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ভারতের হয়ে জাতীয় বিবৃতি রাখবেন, এটি সর্বসাধারণের জন্য হওয়ায়, তা সম্প্রচারিত করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আয়োজিত এই সামিটে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পাওয়া এবং বক্তব্য পেশ করা, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।