Harvard University: জাতিগত বিভেদকে স্বীকৃতি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের, খুশি মার্কিন মুলুকের ভারতীয় ছাত্ররা

Harvard university: এই জাতপাতের বিভেদকে স্বীকৃতির দাবিতে সরব হওয়া কমিটির অন্যতম সদস্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ব বিভাগের পড়ুয়া অপর্ণা গোপালন জানিয়েছেন, "আমেরিকাতে বড় হওয়া দক্ষিণ এশিয়রা জাতপাত নিয়ে বিভেদ করে। তাই কর্মক্ষেত্রে যখন কেউ এই বৈষম্যের স্বীকার হন,

Harvard University: জাতিগত বিভেদকে স্বীকৃতি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের, খুশি মার্কিন মুলুকের ভারতীয় ছাত্ররা
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2021 | 10:05 PM

নয়া দিল্লি: এবার বিদেশেও জাতিগত বৈষম্য পেল স্বীকৃতি। বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এমনটাই খবর। হার্ভার্ডের স্নাতক বিভাগের ছাত্র সংসদ সূত্রে খবর, তাদের নয়া নিয়ম অনুযায়ী ‘সংরক্ষিত বিভাগ’ চালু করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন মুলুকে বিদেশি পড়ুয়ারা। গত সপ্তাহেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই দেশে দক্ষিণ এশিয়ার পড়য়া ও কর্মরত ছাত্ররা মনে করছেন এর ফলে তাদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতপাতের ভিত্তিতে বৈষম্যকে স্বীকৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (ডেভিস), কোলবি কলেজ এবং ব্র্যান্ডেস ইউনিভার্সিটি অন্যান্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই জাতি-ভিত্তিক বৈষম্যকে একটি সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এই জাতপাতের বিভেদকে স্বীকৃতির দাবিতে সরব হওয়া কমিটির অন্যতম সদস্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ব বিভাগের পড়ুয়া অপর্ণা গোপালন জানিয়েছেন, “আমেরিকাতে বড় হওয়া দক্ষিণ এশিয়রা জাতপাত নিয়ে বিভেদ করে। তাই কর্মক্ষেত্রে যখন কেউ এই বৈষম্যের স্বীকার হন, সেই সময় তাঁরা অন্তত বলতে পারবেন দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় এই সমস্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।”

জাতপাতের বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার দাবিতে সরব হওয়ার ওই কমিটির আরও সদস্য গোপালন জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে স্বীকৃতি দিতে প্রায় আটমাসের বেশি সময় নিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইস্যুতে ছাত্র সংসদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিল ছাত্র সংসদ। চলতি বছরের মার্চ মাসেই জাতপাতের ভিত্তিতে এই বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রথমে এই দাবিকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছিল।”

ইক্যুইয়ালিটি ল্যাব নামে আমেরিকার এক সামাজিক ন্যায়বিচার সংগঠন জাতি বৈষম্য ও ভেদাভেদের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরে ছিল। এরপরই এই দাবি মেনে নেয় বিশ্বের নামাজাদা ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তকে জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। গোপালন জানিয়েছেন, ১ হাজার ২০০ আন্তর্জাতিক ছাত্র এই ছাত্র সংসদের আওতায় রয়েছেন। ডিসেম্বরের ১ তারিখ প্রেস বিবৃতি জারি করে ওই সংস্থা জানিয়েছিল, হার্ভার্ডের এই সিদ্ধান্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ৫ হাজার পড়য়া উপকৃত হবেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আরও এক ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া জানিয়েছেন, হার্ভার্ডের এই সিদ্ধান্তে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন International Commercial Flights: ওমিক্রনের আতঙ্কে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা পিছলো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত

আরও পড়ুন Corona Update: কিছুটা স্বস্তিদায়ক রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, কলকাতাতেও কমল দৈনিক সংক্রমণ