International Commercial Flights: ওমিক্রনের আতঙ্কে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা পিছলো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত
International Commercial Flights: ভারতের সঙ্গে মোট ৩১টি দেশের সঙ্গে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত 'এয়ার বাবল' চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী এই ৩১টি দেশের সঙ্গেই ভার বর্তমানে সীমিত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু রেখেছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার ঘোষণায় পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু ডিজিসিএ-এর নতুন ঘোষণায় সে সম্ভবনা অনেকটাই ধাক্কা খেল।
নয়া দিল্লি: আন্তর্জাতিক বিমান চালু করার সিদ্ধান্ত থেকে ফের পেছিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান চলচল শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারে তরফে। কিন্তু নতুন করে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত পেছিয়ে দিল তারা। আজ ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) তরফে একটি সার্কুলার জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত নিয়মিত আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা আগের মতো বন্ধই থাকছে।
এদিন ডিজিসিএ-র প্রধান নীরজ কুমার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, ‘ডিজিসিএ-এর তরফে গত ২৬ নভেম্বর যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তাতে নতুন করে কিছু সংশোধন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে আগামী ২০২২-এর ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নিয়মিত যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচিত কিছু রুটে আন্তর্জাতিক বিমান চলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে অবশ্যই এই বিধিনিষেধ আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহণ এবং ডিজিসিএ-এর তরফে বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্তি বিমানগুলির জন্য প্রযোজ্য নয়।’
প্রসঙ্গত গত ২৬ ডিসেম্বরই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আবারও শুরু হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল যে ১৪টি দেশে ভারত থেকে নিয়মিত বিমান চলাচল এখনই শুরু হবে না। এই দেশগুলির তালিকায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড,ফিনল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বৎসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলি শামিল ছিল। তবে সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সারা বিশ্বেই নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে। ইতিমধ্যে ভারতেও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল পেছিয়ে দেওয়া হল বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে মোট ৩১টি দেশের সঙ্গে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী এই ৩১টি দেশের সঙ্গেই ভার বর্তমানে সীমিত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু রেখেছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার ঘোষণায় পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু ডিজিসিএ-এর নতুন ঘোষণায় সে সম্ভবনা অনেকটাই ধাক্কা খেল।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে ২০২০-র ২৩ মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা। এদিনের ঘোষণায় তা আরও একমাস পেছিয়ে গেল, অর্থাৎ নতুন বছরের শুরু মাসেও বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। তবে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই পরিষেবা চালু হবে কি না তা এখনই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে ওমিক্রনের গতিপ্রকৃতির উপর।