PM Modi-Soudi Prince: আরও একদিন ভারতে থেকে গেলেন সৌদি আরবের যুবরাজ, কী চুক্তি সাক্ষর করতে চলেছেন নমো?

G-20 Summit: ২০১৯ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত সফরে এলেন সৌদি আরবের প্রিন্স। গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতে আসেন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে। গতকালই তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তিনি একদিন অতিরিক্ত থেকে যান।

PM Modi-Soudi Prince: আরও একদিন ভারতে থেকে গেলেন সৌদি আরবের যুবরাজ, কী চুক্তি সাক্ষর করতে চলেছেন নমো?
সৌদির প্রিন্সকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2023 | 12:42 PM

নয়া দিল্লি: একদিকে জি-২০ সম্মেলন, তার মাঝেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, সোমবার সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সূত্রের খবর, কৃষি থেকে শুরু করে শক্তি, প্রতিরক্ষা সহ একাধিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন দুই রাষ্ট্রনেতা। জি-২০ সম্মেলনের মাঝেই মউ স্বাক্ষর হয়েছে ভারত-মধ্য় প্রাচ্য-ইউরোপের মধ্যে রেল-বন্দর করিডর নিয়ে। এরপরই সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

২০১৯ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত সফরে এলেন সৌদি আরবের প্রিন্স। গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতে আসেন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে। গতকালই তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তিনি একদিন অতিরিক্ত থেকে যান। এ দিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবন সফরের পর হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও সৌদির ক্রাউন প্রিন্স।

জানা গিয়েছে, অর্থনীতি থেকে সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হবে। স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা ছাড়াও নতুন কোনও অংশিদারিত্বের কমিটি গঠন করা যায় কি না, তাও পর্যালোচনা করে দেখবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

বিকেলে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ফের একবার রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সঙ্গেও আলোচনা হওয়ার কথা তাঁর।
প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলনের মাঝেই আমেরিকার নেতৃত্বে ভারত, মধ্য় প্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে রেল-বন্দর করিডর তৈরির মউ স্বাক্ষর হয়। এই করিডরের মাধ্যমে ভারত থেকে মধ্য় প্রাচ্য জলপথে যুক্ত হবে। এরপরে তা রেলপথে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই করিডর তৈরি হলে বাণিজ্য রফতানিতে বিশেষ সাহায্য হবে। একদিকে যেমন সুয়েজ খালে জাহাজ-জট এড়ানো যাবে, তেমনই আবার ভারত ও ইউরোপের মধ্যে আমদানি-রফতানিতে খরচ ৪০ শতাংশ কমে যাবে।