
আহমেদাবাদ: নিজের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শনিবার গুজরাটের ভাবনগরে বিশাল রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁকে দেখতে রাস্তার দুই ধারে উপচে পড়ে আম-জনতার ভিড়। সকলে প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই তিরঙ্গা পতাকা দেখিয়ে স্বাগত জানান। চারিদিকে শোনা যায় মোদী মোদী রব।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সকলে। ছোট থেকে বড়, সকলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এক ঝলক দেখার জন্য। রোড-শোর পরে প্রধানমন্ত্রী ‘সমুদ্র সে সমৃদ্ধি’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে তিনি ৩৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
সেই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আপনারা সকলে। অনেক ধন্যবাদ। বিশ্বকর্মা জয়ন্তী থেকে শুরু করে গান্ধী জয়ন্তী পর্যন্ত দেশ সেবা পাকওয়াড়া পালন করছে। বিগত তিনদিনে সেবা পাকওয়াড়ার অধীনে একাধিক অনুষ্ঠান হয়েছে। গুজরাটে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ মানুষ রক্তদান করেছেন। একাধিক শহরে সাফাই অভিযান আয়োজিত হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। ৩০ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আয়োজন করা হয়েছিল। মহিলাদের স্বাস্থ্য বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।”
#WATCH | Gujarat | Addressing a public rally in Bhavnagar, PM Modi says, “Duniya mein koi hamara bada dushman nahi hai. Agar hamara koi dushman hai toh woh hai dusre deshon par hamari nirbharta…”
“Today, India is moving forward with the spirit of ‘Vishwabandhu’. We have no… pic.twitter.com/f6zNRbN9Rc
— ANI (@ANI) September 20, 2025
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নবরাত্রি অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে ভাবনগরে এসেছি আমি। জিএসটির হার কমানোয় এবারের মার্কেটে আরও বিক্রিবাট্টা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। উৎসবের আবহে আমরা সমুদ্র সে সমৃদ্ধি উৎসব পালন করছি। আজ ভারত বিশ্ববন্ধুর ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের কোনও শত্রু নেই। তবে আমাদের সবথেকে বড় শত্রু হল অন্য দেশের উপরে নির্ভরশীলতা। এটাই আমাদের সবথেকে বড় শত্রু। একসঙ্গে আমাদের এই শত্রুকে হারাতে হবে। নির্ভরশীলতার শত্রুকে হারাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যত বিদেশের উপরে নির্ভরশীলতা রয়েছে, ততই বড় সেই দেশের ব্যর্থতা। বিশ্ব শান্তি, স্থিতাবস্থা ও সমৃদ্ধির জন্য বিশ্বের সবথেকে বড় জনসংখ্যাকে আত্মনির্ভর হতে হবে। আমরা যদি অন্যদের উপরে নির্ভর করে থাকি, তাহলে আমাদের আত্মসম্মান আঘাত পাবে। দেশের ১৪০ কোটির ভবিষ্যত অন্যদের হাতে ছাড়তে পারি না। অন্য দেশের উপরে নির্ভরশীল থেকে আমরা দেশের উন্নয়নের শপথ নিতে পারি না। হাজারো দুঃখের একটাই ওষুধ, সেটা হল আত্মনির্ভর ভারত।”