নয়া দিল্লি: প্রতিনিয়তই উদ্বেগ বাড়ছে দেশের করোনা (COVID-19) সংক্রমণ নিয়ে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় দুই লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে, বাড়ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) নিয়েও উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতেই আজ, বৃহস্পতিবার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এই বৈঠক হতে চলেছে।
দেশের একাধিক রাজ্যে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টও ইতিমধ্যেই দেশের ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলি কতটা প্রস্তুত রয়েছে ও সংক্রমণ সামাল দিতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই অবশ্যই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলার সুযোগ দেওয়া হবে।
গতকালই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো রাজ্য, যেখানে করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণ বাকি রাজ্যের তুলনায় বেশি, তারাও উপস্থিত থাকবেন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে কমপক্ষে ৮ জন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। তবে বলার সুযোগ পাবেন কেবল ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীই। এই বৈঠকের পরই দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা এবং পরে প্রয়োজন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণপদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
রবিবারই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকেই কোভিড টাস্ক ফোর্সকে জানিয়েছিলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করতে চান তিনি। কোন রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি কী রকম, কী পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সবই শুনতে চান প্রধানমন্ত্রী। কোনও রাজ্য কোভিড মোকাবিলায় এমন কিছু করছে, যা অন্য রাজ্য অনুসরণ করলে রাজ্যবাসীরই ভাল হবে, এই বিষয়েও সুপারিশ দিতে পারেন তিনি।
এছাড়াও গ্রামীণ স্তরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার কথা আগেই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কোন রাজ্য কী প্রস্তুতি নিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখবেন আজ। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই তা ২ কোটির গণ্ডি পার করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী চান, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাতে টিকাকরণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। মিশন মোডে যাতে টিকাকরণ চলে দেশজুড়ে, তার উপরও জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী।