Mystery Death: চিতায় তখন দাউদাউ করে জ্বলছে দেহ, হঠাৎ হাজির পুলিশ, আগুন নিভিয়ে বের করা হল দগ্ধ দেহ

Mystery Death: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত নিয়ে মুখ খুলছে না। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের খোঁজও চলছে।

Mystery Death: চিতায় তখন দাউদাউ করে জ্বলছে দেহ, হঠাৎ হাজির পুলিশ, আগুন নিভিয়ে বের করা হল দগ্ধ দেহ
প্রতীকী ছবিImage Credit source: twitter
Follow Us:
| Updated on: Apr 21, 2024 | 6:13 PM

উত্তরপ্রদেশ: মৃত্যুর কারণ জানতে জ্বলন্ত চিতা থেকে দেহ বের করল পুলিশ। অভিযোগ, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে স্ত্রী সহ্য করতে পারেননি। তাই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। উত্তরপ্রদেশের ইটার রিজোর থানা এলাকার নাগলাডান্ডা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যখন মহিলার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছিলেন, তখনই কেউ পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছ। তখন দেহ প্রায় অর্ধদগ্ধ। সেই মৃতদেহ চিতা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত নিয়ে মুখ খুলছে না। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের খোঁজও চলছে।

নাগলা ডান্ডা গ্রামের বাসিন্দা ওমবীরের ১০ বছর আগে বিয়ে হয় পিলিভিটের বাসিন্দা রীনার সঙ্গে। তাদের দুজনের এক আট বছরের মেয়েও রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, ওমবীরের অন্য এক মহিলার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর প্রতিদিনই তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতে শুরু করে। গত শুক্রবার গভীর রাতে এই নিয়ে নাকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়।

এরপর সবাই ঘর থেকে বেরলেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রীনা। পরে স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা রীনার দেহ দাহ করার প্রক্রিয়া শুরু করে। তখন কেউ ১১২ নম্বরে ডায়াল করে রিজোর থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ জ্বলন্ত চিতা থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।