
নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এরই মাঝে পদ্মাপারের দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের চিন প্রীতি আরও চাপে ফেলল বাংলাদেশকে। সে দেশ থেকে আরও কিছু পণ্য ভারতে স্থলপথে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারতের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়লেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
সোমবার কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড(DGFT) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাট এবং পাটজাতীয় দড়ি, বস্তা-সহ একাধিক পণ্য স্থলপথে ভারতে ঢুকতে পারবে না। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের নব সেবা সমুদ্রবন্দর মারফত বাংলাদেশি পণ্য আদানপ্রদানে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অগস্টে শেখ হাসিনার ইস্তফার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চাপানউতোর বেড়েছে। গত বছরের ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। এর তিন দিন পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। সেদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নানা ছবি সামনে আসে। ভারত এই নিয়ে ইউনূস প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
আবার চলতি বছরের মার্চের শেষদিকে চিন গিয়ে ভারতের সমালোচনা করেন ইউনূস। এরপর গত এপ্রিল থেকে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে লাগাতার নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। মে মাসে ট্রান্সশিপমেন্ট পরিষেবা ব্যবহার করে ইউরোপ-সহ মধ্যপ্রাচ্যে ঢাকার পণ্য রফতানির সুবিধা বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। এবার স্থলপথে বাংলাদেশের একাধিক পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনূসের চিন প্রীতি ভারত যে ভাল চোখে দেখছে না, একের পর এক সিদ্ধান্তে বুঝিয়ে দিল কেন্দ্র।